“৩০ দিনের খেলা খেলবেন?”, আট দফা নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা

বিহারে ২৪০টি আসনে ৩ দফায় নির্বাচন হয়েছিল। এখন অসমে ৩ দফায়, তামিলনাড়ুতে ২৩৪ আসনে একদিনে নির্বাচন। কেরলে সিপিএমের সরকার এক দফায়। আর বাংলায় ২৯৪টি আসন, তবে ৮ দফায় ভোট কেন? কাকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য? ভোট ঘোষণা হতেই প্রশ্ন তুললেন ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ, তুললেন, জেলাগুলি ভাগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। মমতার কথায়, এমনকি গোটা জেলায় একদিনে নির্বাচন হচ্ছে না। ২৭ মার্চ নির্বাচন করছেন পুরুলিয়ায়। বাঁকুড়াটা ভাগ করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পার্ট ওয়ান। বিএ পার্ট ওয়ান শেখাচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আমাদের জোর বেশি তাই তিন দফায় ভোট করা হচ্ছে। বাঁকুড়া পার্ট টু। এগুলি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ বলে দিয়েছে?


এরপরই তিনি নজীরবিহীনভাবে বললেন, ৩০ দিনের খেলা খেলবেন? আমাদের যায় আসে না। হারিয়ে ভূত করে দেব। আপনারা জেলাকে ভাঙছেন। ভাইকে ভাইকে ভাঙছেন। হিন্দু-মুসলিমকে ভাঙছেন। আপনারা বাঙালি-রাজবংশী ভাঙছেন। আপনারা টোটাল দেশটাকে ভাঙছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রতিক্রিয়ায় তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ নির্বাচন কমিশন সয়ংসম্পূর্ণ এবং স্বশাসিত সংস্থা। বিরেধীদের বক্তব্য, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করেই অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মুখ্যমন্ত্রীর এত সমস্যা কিসের?


এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, বিজেপির চোখ দিয়ে বাংলাকে দেখবেন না, অনুরোধ করছি নির্বাচন কমিশনকে। তাঁর অভিযোগ, এগুলো কি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের কথায় হয়েছে। তামিলানাড়ু-কেরলের নির্বাচন এক দিনে করে দিয়ে এখানে ২৩ দিনের খেলা খেলবেন। যদিও তিনি এদিনও আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, খেলা হবে ৮টা দফায়। আমি ৪০ বছর ধরে ছাত্র রাজনীতি করেছি। রাজ্যের প্রতিটি ব্লক থেকে জেলা থেকে প্রতিটি আসন চিনি। আপনারা যা করবেন আপনাদের সব চক্রান্ত আমি ভেঙে দেব। বহিরাহত গুণ্ডারা বাংলা শাসন করবে না।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post