একসময় বাসন মাজতেন, সেই মান্য সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়

কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতা থাকলে যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি পার করা যায় এবং জীবনে সাফল্য পাওয়া যায় তারই প্রকৃত উদাহরণ মান্য সিং। একজন অটোচালকের মেয়ে হয়েও নিজের স্বপ্ন যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কঠোর পরিশ্রম করে শেষ পর্যন্ত সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গিয়েছেন। 

তবে যে কোনও পেশায় নয়, মডেলিং এবং সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নিজেকে মেলে ধরে সাফল্য পেলেন শীর্ষ পর্যায়ে। সম্প্রতি মান্য সিং এক সর্বভারতীয় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হলেন। 

উত্তরপ্রদেশের মেয়ে মান্য, বাবা সামান্য অটোচালক। ফলে ছোট থেকেই দারিদ্র ছিল তাঁর সঙ্গী। দুবেলা ঠিকমতো খাবার জুটত না তাঁদের। ফলে অনেক কষ্টে পড়াশোনা চালিয়েছিল ছোট্ট মান্য। যে কয়টা গয়না ছিল তাঁর মায়ের, সেগুলি বন্ধক রেখেই কোনওমতে মেয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করেছিলেন মান্যর বাবা-মা। 

একটু বড় হতেই ১৪ বছর বয়েসে বাড়ি থেকে পালায় সে। দিনে পড়াশোনা ও রাতে বাসন মাজা, এভাবেই এগিয়েছিল ছোট্ট মান্যর জীবন। পরে রাতের শিফটে কলসেন্টারে কাজ শুরু করে। এভাবেই কিছু টাকা জমিয়েছিল মান্য সিং। এমনকী টাকা বাঁচাতে ঘন্টার পর ঘন্টা পায়ে হেঁটে কাজে যেতেন। 

এবার মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়ে সকলকে চমকে দিলেন মান্য সিং। সাফল্যের পর কান্নাভেজা গলায় নিজের জীবনের গল্প শোনালেও পালিয়ে যাওয়ার পর কী করেছিলেন সেটা খোলসা করেননি। তবে জানিয়ে দিয়েছেন, এটাই ছিল তাঁর স্বপ্ন। আর স্বপ্ন সফল করতে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছেন সেটা জানাতে ভোলেননি মান্য সিং। এই প্রতিযোগিতায় জেতা টাকা দিয়ে তিনি এবার বাবা-মা ও ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চান। সেই সঙ্গে হতে চান একজন সফল মডেল। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post