অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যু, নববধূর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির

বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু অধ্যাপকের। নববধূর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তুলল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাল্টা তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মৃতের স্ত্রী। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেশপুরের আঁধিচক গ্রামে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার রাতে নিজের বাড়িতেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রতীম মাইতি (৩০)। তিনি নারাজোল রাজ কলেজের এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক। ঘর থেকেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপরই পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে প্রতীমকে। এর পিছনে দায়ী তাঁর সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী। প্রসঙ্গত, ১৮ জানুয়ারি ডেবরার শালিকুঠি এলাকার ইঞ্জিনিয়ার ব্রততীর সাথে অনলাইনে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় প্রতীমের। মৃতের বাবা মানিক মাইতির দাবি, বিয়ের পর থেকেই গ্রাম্য পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছিল ব্রততীর। এনিয়েই বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। তাঁদের অভিযোগ, এর জেরেই তাঁর ছেলেকে  শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বৌমা। এদিকে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন মৃতের স্ত্রী। পাল্টা তাঁর দাবি, স্বামীর সঙ্গে কোনও মতবিরোধ ছিল না। বরং বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিলেন। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে দুই পরিবারের সদস্যরাই।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post