বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত, এবার মমতাকে রাম কার্ড দেখানঃ মোদি

ভোটের মুখে রাজ্যে প্রথম নির্বাচনী সভায় প্রত্যাশামতোই তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্য সরকারকে। আনলেন পিসি-ভাইপো প্রসঙ্গও। জানালেন, নানারকম দুর্নীতির ফলে রাজ্যবাসীরা বঞ্চিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার আনলেন কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়ার কথাও। হলদিয়ার জনসভায় বাংলাকে ফুটবলপ্রিয় রাজ্য বলে সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, টিএমসি অনেক ফাউল করেছে। তাই টিমসিকে সরাতে বঙ্গবাসী রাম কার্ড দেখাবে। পিসি-ভাইপোর সরকার এখান থেকে সরবে। টিমসির সঙ্গে আসল লড়াই হলেও তাঁদের বন্ধুদের ভুলে যাবেন না। বাম-কংগ্রেসকে এক তিরে বিঁধলেন মোদি। তিনি বললেন, কেরলে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে। আবার দিল্লিতে একই ঘরে বসে টিমসি, বাম ও কংগ্রেস পরিকল্পনা করছে। কেরলে যেমন বাম-কংগ্রেস লড়তে থাকে। তেমনি বাংলায় টিমসি ও তৃণমূল লোক দেখানোর লড়াই করে। ফলে বাম-কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে কেউ ভুল করবেন না।  
বক্তৃতায় মোদির জোর ছিল কৃষকদের সমস্যার ওপরেও। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গড়বে। সেই সরকারের প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়ে কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একইসঙ্গে বকেয়া টাকাও দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পও চালু করেনি। এখানে নতুন শিক্ষানীতিও চালু করেনি। এক দেশ এক রেশন কার্ড থেকেও বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। ত্রিপুরায় ডবল ইঞ্জিন সরকার আসায় লোকের উপকার হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রকৃত বিকাশের জন্য আসল পরিবর্তন চাই। তাই ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। ত্রিপুরার বাম সরকারকে সরাতে সাধারণ ত্রিপুরার মানুষ বিজেপির ওপর ভরসা রেখেছিল। নন্দীগ্রামে যাঁরা গুলি চালিয়েছিল তাঁদের দলে নিয়েছে কেন? শুধু ভোট নেওয়ার জন্য। তাঁর প্রশ্ন, আমফানের সময়ের পাঠানো টাকা কী হল? করোনা অতিমারির সময় কেন্দ্র রেশন পাঠাল কাউকে যেন অভুক্ত না থাকতে হয়। সেই রেশন মানুষকে সঠিকভাবে দিতে ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post