বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ দুই বিজেপি বিধায়কের, বাড়ল জল্পনা

ঘরওয়াপসি? বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই বিধায়কের। একজন বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস অন্যজন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। এরা বিগত সময়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সোমবার ছিল চলতি রাজ্য বিধানসভার শেষ অধিবেশন। এরপর ভোটের পর নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের পর বসবে বিধানসভা। এদিনই দুই বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে কি তাঁরা ফের তৃণমূলেই ফিরে যাচ্ছেন? স্বভাবতই উঠছে এই প্রশ্ন। যদিও দুই বিধায়কই সেই জল্পনা উড়িয়ে দিচ্ছেন। 

সূত্রের খবর, দুজনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রায় ঘন্টাখানেক কথা হয়। এরমধ্যে বিশ্বজিৎ দাস বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢুকে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ডেকে নেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক এবং ফিরহাদ হাকিমকে। ফলে এটা নিয়েই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। 

তবে নিজের প্রতিক্রিয়ায় সুনীল সিং জানান, ‘এলাকার উন্নয়ন ও বিধায়ক তহবিলের বরাদ্দ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি গোটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাই দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁর কাছে যেতেই পারি। এরমধ্যে কোনও রাজনীতি নেই’। তিনি অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীও আমার খোঁজখবর নেন, আমিও তাঁর খোঁজখবর নিয়েছি। ব্যারাকপুরে বর্তমান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। তিনিও অর্জুনের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। অপরদিকে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘এলাকার উন্নয়ন খাতে ৯৬ লক্ষ টাকা পড়ে আছে। আমি সম্প্রতি আরও ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু টাকাগুলো দিয়ে কোনও কাজ করছে না, এটাই দিদিকে বলতে এসেছিলাম’। এর পিছনে কোনও অন্য উদ্দেশ্য নেই বলেও দাবি করেন বনগাঁর বিধায়ক। অপরদিকে, এই দুই বিধায়কের দলবদনের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ও। 



Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post