এবার তৃণমূল ছাড়লেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক

তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবারেই বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। খোদ ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার দল ছাড়লেন। সূত্রের খবর, স্পিড পোস্টে তিনি দলের সমস্ত পদ ও সদস্যপদে ইস্তফা পাঠিয়ে দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক। জানা যাচ্ছে, তিনি দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন, একটি তৃণমূল ভবনে দলের সভাপতির কাছে অন্যটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর কাছে। উল্লেখ্য, জেলায় তিনি বরাবরই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ফলে বিজেপিতে শোভনবাবু সক্রিয় হতেই জল্পনা বাড়ছিল তিনি দল ছাড়বেন। ধরেই নেওয়া যায়, তিনিও বিজেপির পথেই পা বাড়াচ্ছেন। 

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল দীপক হালদারের। সোশাল মিডিয়ায় প্রায়ই তিনি দলের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছিলেন। তাঁর মূল অভিযোগ ছিল, তাঁকে এড়িয়েই এলাকার উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছিল প্রশসনিক তরফে। এমনকি দলীয় কোনও কর্মসূচিতেও তাঁকে ডাকা হচ্ছিল না। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের প্রভাব বৃদ্ধিতে দীপক হালদারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেই নয়ের দশক থেকেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে তাঁকে তৃণমূল নেত্রী ডায়মন্ড হারবার বিধানসভায় টিকিট দেন। জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন দীপকবাবু, এরপর ২০১৬ সালেও তিনি এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। যদিও ২০১৫ সালে তাঁকে কয়েকমাসের জ্ন্য সাসপেন্ড করেছিল দল। এদিন ইস্তফা দেওয়ার দীপক হালদার বলেন, ‘অনেক বছরের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল। আমি চিঠি দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা দলকে জানিয়ে দিয়েছি। আমি দল ছাড়ার পর ডায়মন্ডহারবারের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। তাঁদের পরামর্শ নিচ্ছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেব’। তবে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা সরাসরি কিছু বলেননি এদিন। 


Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.