‘দুই সংখ্যা পার করে দেখাও’, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

ভোট প্রচারে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বের ঘনঘন বঙ্গে আগমন প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদল বহিরাগত তত্ত্বই খাড়া করেছিল। তৃণমূল নেত্রীর পর এবার তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই সুরে আক্রমণ করলেন বিজেপিকে। সেই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন, রাজ্য ক্ষমতা দখল তো দূর স্বপ্ন, বিজেপি একশো পার করে দেখাক একুশের নির্বাচনে। শনিবার কুলপি বিধানসভা কেন্দ্রের ঢোলাহাট মাঠে এ দিন বিশাল এক জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। সেখানেই তিনি বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন, সেই সঙ্গে দলত্যাগীদেরও ছেড়ে কথা বলেননি।

অভিষেক বিজেপির দিকে এদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, গাড়ির স্টিয়ারিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই আছে। তৃণমূল ২৫০-এর একটা আসনও কম পাবে না। আগে দুই সংখ্যা পার করে দেখাও, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘যাঁরা সোনার বাংলাকে সুনার বাংলা বলেন, তাঁরা কী সোনার বাংলা গড়বেন। শুধু জয় শ্রীরাম বললে হবে? দিলীপ ঘোষের গরুর দুধের সোনা দিয়ে কি সোনার বাংলা গড়বে ওরা? আগে সোনার উত্তরপ্রদেশ, সোনার মধ্যপ্রদেশ, সোনার হরিয়ানা বানিয়ে দেখান। তার পর বাংলার কথা ভাববেন’। এরপরই তিনি বহিরাগত প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন। অভিষেকের তোপ, ‘পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করতে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ গুজরাট থেকে নেতাদের টেনে আনতে হচ্ছে। মনে রাখবেন, উত্তরপ্রদেশের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহায় জং ধরবে না’। 

ইডি-সিবিআই তদন্তের প্রসঙ্গও তুলে আনেন অভিষেক। ঢোলাহাটের মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, ‘আপনার কথায় তো ইডি-সিবিআই ওঠে বসে। আমার নাম নিতে ভয় কেন? ইয়ে ডর আচ্ছা হ্যায়। আমি নাম নিয়ে বলছি, অমিত শাহ বহিরাগত, রাজনাথ সিংহ বহিরাগত, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। দিলীপ ঘোষ গুন্ডা’। অমিত শাহর প্রতিশ্রতিকেও কটাক্ষ করেন অভিষেক। সম্প্রতি রাজ্যে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার টাকা করে ঘোষণা করেছিলেন। এদিন অভিষেক পাল্টা বলেন, ‘বাংলার মানুষকে এভাবে কেনা যায় না। আর টাকা দিতে চাইলে নিয়ে নেবেন। নোট নেবেন পদ্মফুলের, ভোট দেবেন জোড়াফুলে’। এদিনের সভার শেষে একটি রোড শো করেন অভিষেক। মূলত দিদির দূত প্রচার গাড়ির সূচনা করলেন তিনি। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post