পার্শ্বশিক্ষকদের মঞ্চে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

ধর্মতলায় পার্শ্বশিক্ষকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল। রবিবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তাঁকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন পার্শ্বশিক্ষকদের একাংশ। মুহুর্তে ওই মঞ্চে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে কিছুক্ষণের মধ্যে মঞ্চ ছাড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও এদিন পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান মঞ্চে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আশ্বস্ত করলেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও তাতে আশ্বস্ত হওয়ার বদলে একংশ পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষকরা তাঁদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকেন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, পার্শ্বশিক্ষকদের সমস্যা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে। ধাপে ধাপে তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে আপনাদের প্রতি সহানুভুতি আছে সেটা বহুবার প্রমানিত হয়েছে। যদিও তিনি আন্দোলনকারীদের একাংশকেও তোপ দাগলেন। বললেন, যারা সল্টলেকে বসে আছেন তাঁরা ওটাকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসাবে তৈরি করেছেন, দাবি দাওয়া নিয়ে কিছু বলছেন না। এরপরই তিনি ঘোষণা করলেন, পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমন্বয় কমিটিকে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্ভুক্ত করা হল। মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালনীন বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী পার্শ্বশিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে যা ঘোষণা করেছিলেন, অর্থ দফতর তার অনুমোদন করেছে। অর্থাৎ বার্ষিক ৩ শতাংশ হারে ভাতা বৃদ্ধি এবং অবসরকালীন ৩ লাখ টাকা এক্সগ্রাসিয়া। 

যদিও শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসবাণীর পরও আশ্বস্ত নন পার্শ্বশিক্ষকরা। তাঁদের অভিযোগ, দাবি পূরণের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি শিক্ষামন্ত্রী। ২০০৯ সালে বিরোধী আসনে থাকাকালীন একই ভাবে পার্শ্বশিক্ষকদের মঞ্চে এসে স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ১০ বছরেও তা কার্যকর হয়নি। ফলে শিক্ষামন্ত্রী মঞ্চে থাকাকালীনই তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন আন্দোলনকারীদের একাংশ।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post