মমতার জোট

বহিরাগত ইস্যুতে প্রচারে জোর বাড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মূলত অবাঙালি বিজেপি নেতাদের ওই ভাষাতেই আক্রমণ করেছে তৃণমূলের ছোটবড় নেতারা। কিন্তু এরপরও দেখা যাচ্ছে দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলি কংগ্রেস-সিপিএমকে ব্রাত্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করতে এগিয়ে আসছে। বঙ্গ নির্বাচনে মমতার দলকে প্রথমে সমর্থন জানিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। এরপর বামেদের ব্রিগেড জনসভার দিন কলকাতায় আসা সত্বেও আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন। এবং তাঁর দলকে সমর্থন জানিয়ে হিন্দিভাষীদের কাছে তৃণমূলকেই সমর্থন করার অনুরোধ করেন। 

এরআগে এনসিপি-র শারদ পাওয়ারও মমতাকে সমর্থন জানিয়ে দিয়েছিলেন। কৃষক আন্দোলনে মমতার সমর্থনের সম্মানে অকালি দল নেতারাও নবান্নে এসে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে। অকালি দলও এবারের ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন করে বাংলায় বসবাসকারী পাঞ্জাবীদের আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে তৃণমূলকে সমর্থন জানালেন। শুধু তাই নয়, শিবসেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বঙ্গ ভোটে শিবসেনা কোনও প্রার্থী দেবে না। তৃণমূলকেই তাঁরা সমর্থন করবে। শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউথ বঙ্গে আসবেন প্রচারে। 


লক্ষণীয় বিষয় এই দলগুলির কেউই কোনও কেন্দ্রে প্রার্থী দিচ্ছে না | কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেস ও বামেরা তাদের জোটে থাকা সত্বেও তৃণমূলকে সমর্থন কেন? সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কোনও ভাবেই তাঁরা বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে নারাজ। কংগ্রেস প্রধান শক্তি না হওয়াতে তাঁদের জোটকে আমল দিতে চাইছে না অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকি ডিএমকেও তৃণমূলের পাশে থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। সময়ে বুঝে এই দলগুলির প্রতিনিধিরা বাংলায় এসে অবাঙালি এলাকাগুলিতে প্রচারও করবে।   

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post