মাত্র কয়েকদিন হল এলাকায় ফিরেছেন। আর ফিরতেই স্বমেজাজে সুশান্ত ঘোষ। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। এই সময়ই রীতিমতো হুঙ্কারের সুরেই বললেন, আক্রমণ করলে ঘর থেকে তুলে নিয়ে এসে হাত পা ভাঙব। তাঁর আক্রমণের তিরে ছিলেন তৃণমূল, বিজেপি নেতারা এবং অবশ্যই নকশাল নেতারা। সূত্রের খবর, শালবনী থেকেই টিকিট পেতে পারেন সুশান্ত ঘোষ। আনুষ্ঠানিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হলেও তিনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। গ্রামে গ্রামে চলছে প্রচার, জোর কদমে শুরু করেছেন জনসংযোগ। আর এরমধ্যেই ফের স্বমেজাজে দেখা গেল ১০ বছর পর জেলায় ফেরা সুশান্ত ঘোষকে। এদিন একসময়ের মাওবাদী অধ্যুষিত শালবনীর কুশতোড়া ভালুকশোল গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পশ্চিমাঞ্চল মন্ত্রী।
তখনই এলাকাবাসীর সাথে কথা বলার সময় তাঁর হুঙ্কার, ‘মাওবাদীর জানে তৃনমূলের বাপ ঠাকুরদা জানে, বিজেপির বাপ ঠাকুরদাও জানে সুশান্ত ঘোষ কে!সুশান্ত ঘোষ যা বলে তাই করে। এতদিন ছিলাম না যা করেছেন করেছেন, এবার আমি এসে গেছি। যার ক্ষমতা হবে গায়ে হাত দেওয়ার তাঁকে গ্রাম থেকে তুলে এনে হাত পা ভেঙে আমিই চিকিৎসা করাব’। উল্লেখ্য, ২০১১ র নির্বাচনে সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগকে হাতিয়ার করেই লড়াই করেছিল তৃণমূল। এরপর বেনাচাপড়া-দাসেরবাঁধ কঙ্কাল কাণ্ডের মতো ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছে সুশান্ত ঘোষের।
দীর্ঘকাল জেলবন্দি ও বাইরে থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের অনুমতিতে গত ৬ ডিসেম্বর নিজের এলাকায় ফিরেছেন সুশান্ত ঘোষ। এরপর প্রচারে বেরিয়ে সুশান্ত ঘোষের হুঙ্কার রীতিমতো সাড়া ফেলেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এবার বিরোধীরা কতটা সুর চড়ায় সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে সেটাই এখন দেখার। ইতিমধ্যেই পাল্টা দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘উনি হয়তো ভাবছেন এটা ২০০৮-০৯ সাল, বামেদের রাজত্ব। কিন্তু ভুল ভাবছেন। আগে বহু লোকের হাত পা ভেঙেছেন। তাই এখনও তেমনটা করবেন ভাবছেন। কিন্তু সেটা হবে না’।
Thank You for your important feedback