ক্ষমতায় এলে রাজ্যে একদিনেই গরুপাচার বন্ধ হবে, তোপ যোগীর

 রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসেই শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার তিনি মালদার গাজোলে এসেছিলেন বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখানেই আয়োযিত একটি জনসভায় নিজের ভাষণে তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে যোগী আদিত্যনাথ প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রী অল্প সময়ে মাথা গরম করে ফেলতে পারেন? পাশাপাশি জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যে গরুপাচার বন্ধ করা হবে। লাভ জিহাদ নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন।

 

 গাজোলের জনসভা থেকে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘বাংলায় লাভ জিহাদের ঘটানো ঘটছে। আমরা ইউপি-তে আইন করে দিয়েছি। কিন্তু বাংলায় তোষণের রাজনীতি করতে এখানকার সরকার গরু পাচার হোক বা লাভ জিহাদ, কোনওটাই রুখতে পারছে না। এর ফল মানুষ পরে বুঝবেন। এখানকার সরকার এই সমস্ত ঘটনাই ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ’। এরপরই তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে আমি তাঁদের পরামর্শ দেব যাতে উত্তরপ্রদেশের মতো লভ জিহাদ বিরোধী আইন তৈরি করা হয়। এদিন যোগীর নিশানায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল নেত্রীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, জয় শ্রীরাম বললে বাধা কেন? রাম নাম অপছন্দ করলে বাংলায় জায়গা নেই। পাশাপাশি দুর্গাপুজো ইস্যুও টেনে আনেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি প্রশ্ন তুললেন, উত্তরপ্রদেশে দুর্গাপুজো করতে বাধা দেওয়া হয়না, কিন্তু এই রাজ্যে সমস্যা হয়। 

বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর,  মালদা জেলার মানুষ গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটবাক্সে ভালোই ভোট দিয়েছিলেন। মালদা উত্তর থেকে খগেন মুর্মু জয়ী হয়েছিলেন লোকসভায়। যদিও এই জেলায় মূলত ত্রিমুখী লড়াই হয়েছিল মালদায়। এই জেলায় সংখ্যালঘু ভোটারই সংখ্যাই বেশি, তবুও কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হওয়াতে উত্তর মালদায় জিতেছিল বিজেপি। আবার দক্ষিণ মালদায় কোনও ক্রমে জিতেছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী। তাও মাত্র ৮,২২২ ভোটে, যা কিনা লোকসভার নিরিখে নেহাতই কম। এবার বিধানসভা নির্বাচনে সেই হাওয়া নিজেদের দিকে বজায় রাখতেই কোমর বেধে নেমেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। 


 রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবস্থান বুঝে হিন্দু ভোটকে একত্রিত করার লক্ষ্যে যোগী আদিত্যনাথকে মুখ করতে চাইছে বিজেপি। যোগী এর আগেও বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে ভোট প্রচার করেছেন এবং বিজেপির পক্ষে ভোটও বাড়াতে পেরেছেন। লোকসভা ভোটেও তিনি বেশ কয়েকবার বাংলায় প্রচারে এসেছিলেন। সম্প্রতি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হায়দরাবাদ পুর নির্বাচনে যোগীকে প্রচার পাঠিয়ে প্রায় শূন্য থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছেছিল বিজেপি। তাই বঙ্গ ভোটেও যোগীর ওপর ভরসা রাখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদায় তাঁকেই প্রচারে নিয়ে এসে বাজিমাৎ করতে চাইছে পদ্ম শিবির।  


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post