প্রতি পরিবারকে বার্ষিক ৬০০০ টাকা, ইস্তেহারে ‘কল্পতরু’ মমতা

 অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে জেলা সফর সেরে কলকাতায় ফেরেন তিনি। এরপরই কালীঘাটে নিজের বাড়িতে তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি ইস্তেহার প্রকাশ করলেন। নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার জন্য এই অনুষ্ঠান পিছিয়ে গিয়েছিল। এদিন দলীয় ইস্তেহারে কার্যত কল্পতরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে। পাশাপাশি তিনি জানান, ২০১৬ সালের বিধানসভায় দেওয়া প্রতিশ্রুতির ১১০ শতাংশ পুরণ করা হয়েছে। এছাড়া জানালেন, নতুন সরকারে এসে আমরা লক্ষ লক্ষ বিধবা ও প্রতিবন্ধী মানুষকে সাহায্য করব। পরিবারের জন্য ন্যূনতম মাসিক আয় সুনিশ্চিত করব। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তৃণমূল সরকারের কাজ গোটা বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। এক নজরে দেখে নিন কি কি আছে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে…


  • ১০০ দিনের কাজে শীর্ষে বাংলা। কর্মসংস্থানেও অনেকটা এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূলের লক্ষ্য বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা। ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৭৫ লাখ কর্মদিবস তৈরি করা হয়েছে।
  • বাড়ছে বিধবা ভাতা, ক্ষমতায় আসলে আগামী মে মাস থেকে  বিধবা ভাতা বাড়িয়ে মাসে ১০০০ টাকা করা হবে।
  • খাদ্যসাথী প্রকল্পেও নতুন উদ্যোগ, ক্ষমতায় এলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে রেশন।
  • কৃষকবন্ধু প্রকল্পেও জোর দেওয়া হবে, বাড়বে আর্থিক সাহায্যও। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে যাদের এক কাঠা জমি আছে তাঁরা বার্ষিক ১০ হাজার টাকা করে অনুদান পাবেন। এতদিন এই খাতে বছরে ৬০০০ টাকা করে দেওয়া হতো।
  • তৃণমূল ক্ষমতায় এলে এবার প্রতি পরিবারকেই আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার। প্রতি পরিবার পিছু বছরে ৬০০০ টাকা সাহায্য। তফসিলি পরিবার পাবেন বার্ষিক ১২ হাজার টাকা করে। অর্থাৎ সাধারণ পরিবার মাসে পাবেন ৫০০ টাকা করে। আর তফসিলি পরিবার মাসে ১০০০ টাকা করে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এটা বাড়ির মেয়েদের পকেটমানি।
  • কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী এবং দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প চালু থাকবে। এবার থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্প বছরে চারবার করে হবে।
  • পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আওতায় আনা হবে। যোগ্য পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আনবে সরকার। ১০ লাখ পর্যন্ত ক্রেডিট লিমিট, সুদ ৪ শতাংশ। তবে কোনও জামিনদার লাগবে না।
  • বাংলার আবাস যোজনায় আরও ২৫ লাখ বাড়ি তৈরি হবে। এই যোজনায় এখনও পর্যন্ত ৩৩.৭ লাখ বাড়ি তৈরি হয়েছে।
  • পাহাড়ের জন্য বিশেষ উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হবে।
  • আরও অনেক জনগোষ্ঠীকে ওবিসি তালিকায় আনা হবে। 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post