করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রয়োজনে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনঃ মোদি

দেশে নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় কি করণীয় সেটা ঠিক করতে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় করা পরিকল্পনায় যদি কোনও ফাঁক থাকে তবে সেটা দ্রত পূর্ণ করতে হবে। হাতে আর সময় নেই, তীরে এসে তরী ডুবলে আর কিছুই করার থাকবে না। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে অভিযোগও করেন, অনেক রাজ্যেই করোনার টিকা নষ্ট হচ্ছে, ঠিকঠাক সংরক্ষণ এবং ব্যবহার হচ্ছে না। 


 


বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকদের মতে, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। কয়েকটি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারেও বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিও এদিন বলেন, ‘ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের রুখতেই হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি কোনওভাবেই হালকা করে দেখলে আমাদের হবে না। কারণ এখনই যদি করোনা সংক্রমণ থামানো না যায়, তবে আবার দেশজুড়ে অতিমারীর আকার নেবে’। প্রধানমন্ত্রী সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু অ্যান্টিজেন টেস্ট করলেই চলবে না, আরটি- পিসিআর টেস্ট বেশি করতে হবে। তার মাধ্যমে আক্রান্তদের শনাক্ত করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। 

 

পাশাপাশি দেশজুড়ে চলা করোনা টিকাকরণ নিয়ে মোদি বলেন, অনেক রাজ্যে কোভিড প্রতিষেধক নষ্ট হচ্ছে। প্রতিষেধক যাতে কোনও ভাবেই নষ্ট না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। কেউ নষ্ট করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে সেই রাজ্যগুলিকে। পাশাপাশি ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলেও করোনার টিকাকরণের কর্মসূচি নেওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও অনুপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। এরা প্রত্যেকেই ভোট প্রচারের কাজে ব্যস্ত বলে জানানো হয়েছে।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post