কয়লা-গরু পাচারের পর পাচারের তালিকায় বাঘ-সিংহ!

বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ড নিয়ে চলছে ধুন্দুমার। এবার শিরোনামে উঠে এল বাঘ ও সিংহ পাচারকাণ্ডের ঘটনা। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরট। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চারবছর আগে শুল্ক দফতর গুজরাত থেকে আনা একটি বাঘ নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল। সেটি গোপনে বিদেশে পাচার করা হচ্ছিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন সেই সময় শুল্ক অধিকর্তা এস কে সিনহা। যদিও তদন্ত মাঝপথে আটকে যায় লালফিতের ফাঁসে। পরে ২০১৯ সালের জুন মাসে কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রাজ্যের বন দফতর উদ্ধার করে একটি সিংহ শাবক। ওই গাড়ি চালককে জেরা করে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনার মূলচক্রী হিসেবে উঠে আসে ইমরান খান নামে এক ব্যক্তির নাম। তবে তাকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। 

অপরদিকে তদন্তে নাম উঠে আসে কুখ্যাত পাচারকারী ওয়াসিম, ওয়াজিদ ও আকবরের। এই তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে জানা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ সহ মালয়েশিয়াতেও বন্য পশু পাচার করতেন ইমরান। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে তৃণমূলের প্রভাবশালী এক নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আছে এই ইমরানের। ইমরান বন্য পশু পাচার ও বেআইনি লেনদেন করতেন। আর হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড থেকেই চলত এই বেআইনি ব্যবসার অপারেশন। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে বেআইনি লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তে উঠে আসে এই বিষয়টি। ইতিমধ্যেই কয়লা পাচারকাণ্ডের মতো এই বেআইনি বন্যপশু পাচারকাণ্ডে বেআইনি লেনদেন এবং প্রভাবশালীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও অর্থ লেনদেন হচ্ছে কিনা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে ইডি।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post