ছেলে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে সদ্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কাঁথির বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। বেশ কিছুদিন নীরব থাকার পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় হাজির হয়ে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। এবার তাঁর সাংসদ পদ খারিজের উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগ দেওয়া আরেক সাংসদ সুনীল মণ্ডলের মতোই শিশির অধিকারীর বিষয়েও লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দেবে তৃণমূল। তবে এই মুহূর্তে ওম বিড়লা করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই তাঁর সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তৃণমূল নেতৃত্বকে।
তবে শাসকদলের তরফে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে শিশিরবাবুর লোকসভার সদস্য পদ খারিজের আবেদন করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলেই এই বিষয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যথা সময়ে ব্যবস্থা নেবে দল। তিনি আরও বলেন, দলের সঙ্গে মতানৈক্য হতেই পারে, যে কেউ অন্য দলে যেতে পারেন, তবে দলের দেওয়া পদগুলি থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিৎ ছিল। এটা নৈতিকতার বিষয়। অপরদিকে কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ অবশ্য এসব পাত্তা দিতে নারাজ। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, যা পারে করে নিক।
প্রসঙ্গত, ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট কাঁথি থেকে জিতে সাংসদ হয়েছেন শিশির অধিকারী। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে ছেলে শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরই শিশির অধিকারীকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি এবং দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেয় দল। এবার তাঁর সাংসদ পদও খারিজের তোড়জোড় চলছে।
Thank You for your important feedback