‘চুরির খেলা চলবে না’, খেলা হবে-র পাল্টা স্লোগান মোদির

৭ মার্চের পর বৃহস্পতিবার ফের রাজ্যে ভোট প্রচারে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন পুরুলিয়ার ভাঙড়া মোড়ের নবকুঞ্জ মাঠে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যেমন কটাক্ষ করলেন, তেমনই তৃণমূলের রাজনৈতিক স্লোগান ‘খেলা হবে’-র পাল্টা স্লোগান বেঁধে দিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের জন্য। পাশাপাশি বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পরিবর্তনের আশা জেগেছে, এবারই হবে আসল পরিবর্তন’। তিনি এদিন বাংলা ভাষাতেই বললেন,  ২ মে, দিদি যাচ্ছে। আসল পরিবর্তন আসছে। এ বার ভয় নয়, শুধু জয়। পশ্চিমবাংলার মানুষের জয়। এই সময় বাংলাকে কুশাসন থেকে মুক্ত করার সময়। আদর্শ ও নীতির জন্য সব শক্তি অর্পণ করার সময়। আমরা লক্ষ্যে প্রায় পৌঁছে গিয়েছি। 


 প্রায় এক সপ্তাহ পর এদিন মোদির ভাষণে উঠে এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনা। পুরুলিয়ার সভায় মোদি বললেন, ‘দেশের অন্যান্য মেয়েদের মত দিদিও  ভারতের 'বেটি', তাই নন্দীগ্রামে তিনি আহত হওয়ার পর সুস্থতা চেয়ে প্রার্থনা করেছিলাম’। তবে এদিন তৃণমূলের স্লোগান ‘খেলা হবে’-র পাল্টা স্লোগান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাতেই বললেন, ‘আমরা চাইলেই খেলা শেষ করতে পারি। তাই দিদি চুরির খেলা আর চলবে না’। মূলত খেলা হবে স্লোগানের পাল্টা স্লোগানের মালা গেঁথে দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘টিএমসি বলছে খেলা হবে। দিদিও বলেন খেলা হবে, আর বিজেপি বলে চাকরি হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে বিকাশ হবে। বিজেপি বলে শিক্ষা হবে। দিদি বলেন, খোলা হবে, বিজেপি বলে মহিলাদের উত্থান হবে। যুবশক্তির সম্পূর্ণ বিকাশ হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে সবার পাকা বাড়ি হবে। প্রত্যেকের ঘরে কল হবে, হাসপাতাল হবে, স্কুল হবে। অনেক খেলেছেন দিদি, এবার খেলা শেষ হবে। বিকাশ আরম্ভ হবে’। 


প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ, তোলাবাজি, কাটমানি নিয়েও সরব হয়েছেন এদিন। তিনি বলেন, এই রাজ্যে তোষণের নামে আপনাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। ওবিসিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।  মা-মাটি-মানুষের সরকারের যদি দলিতদের প্রতি কোনও দয়া মায়া থাকতো তাহলে কেন্দ্রের টাকা লুট করত না। সবাই জানে কয়লা মাফিয়া, বালি মাফিয়াদের কারা প্রশ্রয় দেয়। আবার রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদেরও প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে অনুরোধ, আপনারা গণতন্ত্রকে সবার উপরে রাখুন। বিজেপি কর্মকর্তাদের বলছি, ২ মে বিজেপি সরকার তৈরি হওয়ার পর, সবাইকে সুবিচার দেওয়া হবে। স্থাপিত হবে আইনের শাসন। অপরাধীদের আইন জেলের পাঠাবে। আমাদের জন্য জনতাই ঈশ্বর। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সভায় জনসমাগম ছিল দেখার মতো। প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন এদিন পুরুলিয়ার ভাঙড়া মোড়ের নবকুঞ্জ মাঠে।
 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post