ব্রিগেডের আগেই নদিয়ায় গুলিবিদ্ধ বিজেপি নেতা, ভাঙড়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ

রবিবার কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা। তার আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। একদিকে নদিয়ায় এক বিজেপি নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অপরদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ব্রিগেডমুখী বাস আটকে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল রবিবার সকালে। এরপরই পাল্টা হামলার ঘটনাও সামনে আসে। 

শনিবার রাতে নদিয়ার হরিণঘাটায় ব্রিগেডের একটি প্রস্তুতি পথসভা ছিল বিজেপির। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হরিণঘাটা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি সঞ্জয় দাস। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁর ডান পায়ে গুলি লাগে বলেই জানা যাচ্ছে, তড়িঘড়ি তাঁকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই। স্থানীয় বিজেপির অভিযোগ, ব্রিগেডের জনসভায় যেতে বাধা দিতেই তৃণমূলের লোকজন এই কাজ করেছে। অপরদিকে বিজেপির দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের ইঙ্গিত এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

অপরদিকে রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের সাকসা গ্রামে বিজেপি কর্মী সমর্থক বোঝাই একটি বাসে আক্রমণের ঘটনা সামনে আসে। বিজেপি কর্মীরা এই বাসে করে ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাচ্ছিলেন। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের লোকজনই এই হামলার পিছনে রয়েছে। এমনকি তাঁদের কয়েকজন কর্মীর মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাল্টা বাধা দিলে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এমনকি বোমাবাজির অভিযোগও উঠছে। সবমিলিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ের সাকসা গ্রাম ও আশেপাশের এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post