নীল-সাদা হুইল চেয়ারে ভাঙা পা নিয়েই মিছিলে মমতা

গত বুধবার নন্দীগ্রামে আহত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ৪৮ ঘন্টা এসএসকেএম হাসপাতালে কাটিয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম দিবসে আর বাড়িতে বসে থাকলেন না তিনি। নীল-সাদা রঙের এক বিশেষ হুইল চেয়ারে বসে মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। মহাত্মা গান্ধির মূর্তিতে মালা দিয়ে মিছিলে অংশ নিলেন তিনি। তাঁর পায়ে রয়েছে বিশেষ জুতো, তবে তিনি হুইল চেয়ার থেকে নামেননি, তাতে করেই রাজপথে মিছিলে অংশ নিলেন। প্রায় ৫ কিলোমিটার এই মিছিলে পুরোটাই অংশ নিলেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর হাজরা মোড়ে এক জনসভায় ভাষণ দিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, এই সভার পরই মুখ্যমন্ত্রী দূর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। হাজরা মোড়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ডাক্তাররা আমাকে ১৫ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি যদি বিশ্রাম নিই, তবে বাংলার ভোটে দলের হয়ে প্রচার করবে কে? তাই বেরিয়ে পড়েছি রাস্তায়। পায়ে হয়তো যন্ত্রনা আছে, কিন্তু আমার হৃদয়ে যন্ত্রনা আনেক বেশি। গণতন্ত্রের যন্ত্রনা অনেক বেশি। বাংলাকে ঘিরে চক্রান্তের পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বললেন, ভাঙা পা নিয়েই আমি সারা বাংলা ঘুরে বেরাবো। ভাঙা পা নিয়েই খেলা হবে। আমাকে আহত করে কোনও লাভ হবে না, মনে রাখবেন আহত বাঘ অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। 


 এর আগে মেয়ো রোডে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন ফের অভিযোগ করেন, ‘দলনেত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে’।  এই ঘটনার ধিক্কার জানিয়ে তিনি বলেন, বহিরাগতদের বশ্যতা স্বীকার করবে না তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাঙা পা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ভাঙা পায়েই জেতা হবে, নবান্ন দখল হবে। তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা। অপরদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলকে ঘিরে আটোসাঁটো পুলিশি নিরাপত্তা ছিল এদিন। মিছিলের চারিদিকে দড়ি দিয়ে ৫০ মিটার ঘিরে দেওয়া হয়েছিল পুরো রাস্তা। এমনকী ছিল দুটি অ্যাম্বুলেন্স। ‘ভাঙা পায়েই খেলা হবে’ স্লোগানেই শুরু হয় মিছিল। 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post