ভোট চলাকালীনই নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য, মোদির বিরুদ্ধে এবার তদন্তে কমিশন

 

গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট ছিল। ওইদিনই হাইভোল্টেজ ভোট হয়েছে নন্দীগ্রামে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী, আর বিপক্ষে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ওইদিনই রাজ্যে দুটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর অন্যটি হাওড়ার উলুবেড়িয়াতে। দুটি সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারছেন। যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল বলেই দাবি করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে কমিশন। সূত্রের খবর, এই অভিযোগের তদন্তে আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

 জানা যাচ্ছে, ভোট চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে বলেই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রাম থেকে উলুবেড়িয়া বেশি দূরে নয়। সেখানে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তখনও ভোট শেষ হয়নি নন্দীগ্রামে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এই পরিস্থিতিতে ভোটের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করা যায় কি? নিয়ম অনুযায়ী ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগে প্রচার শেষ হয়ে যায়। যদিও অন্য দফার নির্বাচনে প্রচার চালানো যায়। কিন্তু যেখানে ভোট চলছে সেই কেন্দ্র নিয়ে কোনও মন্তব্য বা ভোট চাইতে পারেন না। এটা করলে ধরে নেওয়া হয় ওই রাজনৈতিক দল বা ওই নেতা ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছেন। তবে বর্তমান সময়ে টেলিভিশন ও ইন্টারনেট মাধ্যমে অন্য কোনও এলাকার প্রচার সর্বত্রই দেখা যায়, শোনা যায়। ফলে এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা ব্যবহারিকভাবে গুরুত্ব পায় না।

 ফলে ওই সব মাধ্যমে প্রচার চলতেই থাকে। জয়নগর ও উলুবেড়িয়া থেকে মোদি বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে হারছেন মমতা, ফলে তিনি অন্য কোনও আসনে লড়তে পারেন। তৃণমূল নেত্রীর দাবি ভোট চলাকালীন টেলিভিশন মাধ্যমে মোদির বক্তব্য নন্দীগ্রামের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। ফলে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এক্ষেত্রে সত্যিই কি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী? জানতে আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post