করোনার হানা ইডি-সিবিআই দফতরে, আক্রান্ত ৩৪

 


নির্বাচনী আবহেই রাজ্যে থাবা বসিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ভোট প্রচারের মাঝেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। নির্বাচন কমিশনের দফতরের পর এবার করোনার গ্রাসে সিবিআই ও ইডি দফতর। দুই সংস্থার কলকাতা দফতরের মোট  ৩৪ জন আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সূত্রের খবর, সিবিআই দফতরের ৪ জন এবং ইডি-র ৩০ জন আধিকারিক এই করোনার কবলে।  যার জেরে বাড়তি সতর্কতা সিবিআই ও ইডি দফতরে। সংক্রমণ এড়াতে আপাতত হাজিরা ও জিজ্ঞাসাবাদের কাজ বন্ধ রাখল এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কলকাতা দফতর।  উভয় সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনও মামলায় নতুন করে আর কোনও সাক্ষীকে হাজিরার নোটিস পাটানো হবে না।  শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে যাঁদেরকে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাঁদেরও আপাতত সিবিআই ও ইডি-র দফতরে আসতে হবে না। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়লা ও গরুপাচার মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তাই এই মামলায় নাম জড়িয়ে পড়া ব্যক্তিরা আপাত স্বস্তিতে। রবিবারই গরুপাচার মামলায় হাজিরার নোটিস পাঠানো হয় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। মঙ্গলবার তাঁর নিজাম প্যালেসে হাজিরার কথা থাকলেও বাড়তি সময় চেয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, তারপর সিবিআই দফতরের এই সিদ্ধান্তে ভোটের মাঝে আপাত স্বস্তিতে বীরভূমের ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা। প্রবীণ সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘যদিও আমি অনুব্রতর কট্টর বিরোধী, তবু বলব এতদিন কী করছিল সিবিআই? নির্বাচন চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করার অর্থ  পরোক্ষভাবে তাঁকেই প্রচার দেওয়া। আমার আশঙ্কা এরপর বিষয়টা ধামাচাপা না পড়ে যায়।’  

যদিও ওই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অতিমারির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরফলে তদন্তে কোনও প্রভাব পড়বে না। কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্স ও নিজাম প্যালেসে ৫০ শতাংশ আধিকারিক নিয়ে এই সুহূর্তে এই দুই সংস্থা কাজ চালাচ্ছে। তাই এ অবস্থায় অভিযুক্ত বা সাক্ষীদের পরিবারে যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে সিবিআই ও ইডি আধিকারিকদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত।          

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post