এখনই লকডাউনের ভাবনা নেইঃ মমতা

গোটা দেশের মতো ভোটমুখি পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশে আংশিক লকডাউন চলছে। রাজস্থান ও দিল্লি সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হেঁটেছে। কোথাও আবার নাইট কার্ফু জারি করে করোনা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে আট হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন এখনই লকডাউনের পথে হাঁটবে না রাজ্য সরকার।

 

 তিনি বলেন, ‘এখনই লকডাউনের কোনও চিন্তা নেই। লকডাউন করলেই সব কমে যাবে? মানুষকে একটু সময় দিতে হবে না? বাইরে থেকে হাজার হাজার লোক আসছে, করোনা সেখানেও ছড়াচ্ছে। লকডাউন করলে তো মানুষের কষ্ট হবে’। তবে তিনি এদিন কেন্দ্রের ওপর দোষ চাপিয়ে বলেন, টিকা কম আছে, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দিলে রাজ্য সরকার টিকা কিনতে পারে না। সেই অনুমতি দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাজ্যে টিকা, অক্সিজেনের বিপুল প্রয়োজন। সবটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।  পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, কোভিড ঝড় মোকাবিলা করার পরিকাঠামো তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বললেন, ২০০ সেফ হোমে ১১ হাজার বেড রয়েছে। আরও সাড়ে ৪ হাজার বেড বাড়ানো হবে। ৪০০ অ্যাম্বুলেন্স তৈরি রয়েছে। রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ করছে। 

 

তিনি আরও বলেন, রাজ্যে ১০০টি হাসপাতাল করোনার জন্য তৈরি রয়েছে, বেসরকারি ৫৮টি হাসপাতাল নেওয়া রয়েছে। তবে তিনি অনুরোধ করেছেন, যাঁদের প্রয়োজন তাঁরাই হাসপাতালে ভর্তি হন, যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁরা ভর্তি হবেন না।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষদের আস্বস্ত করে বলেছেন, অকারণ ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা পরিস্থিতি সামলাচ্ছি। বাইরে থেকে অনেক লোক আসছে, সেই কারণে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে। এদিকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সোমবার সেই রিপোর্ট নিয়ে রাজভবনে যান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে এদিন সন্ধ্যায় তিনি রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করবেন।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post