নজরে পঞ্চম দফা, ৭২ ঘন্টা আগে প্রচার বন্ধ, কোচবিহারে ঢুকতে নিষেধ

শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারে ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনার জেরে কয়েকটি কড়া নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার বেশি রাতে জারি করা নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘন্টা কোচবিহারের বাইরের কোনও নেতা-নেত্রী ওই জেলায় ঢুকতে পারবেন না। পাশাপাশি কমিশন এও জানিয়েছে পঞ্চম দফার ভোটের প্রচার শেষ করতে হবে ভোটের দিনের ৭২ ঘন্টা আগেই। সবমিলিয়ে কোচবিহারের শীতলকুচিতে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা নির্বাচন কমিশন গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোট চলাকালীন শনিবার পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। আর একজন বলি হয়েছেন রাজনৈতিক সংঘর্ষের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। এমনকি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বিকেলেই শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছেন তাঁর সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে। তাঁর আজ রবিবার শীতলকুচিতে যাওয়ার কথা। কিন্তু কমিশনের নির্দেশে তৃণমূলনেত্রীর আর কোচবিহারে ঢোকা হচ্ছে না।



অপরদিকে আগামী ৭২ ঘন্টা নির্বাচন কমিশনকে কোচবিহার সম্পর্কিত প্রতিটি আপডেট দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে নিয়োজিত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দূবে এবং রাজ্যের সিইও আরিফ আফতাবকে প্রতিটি আপডেট দিল্লিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের নির্বাচনী দফতর সূত্রে খবর, আরও ৭০ কোম্পানি আধাসেনা পাঠানো হতে পারে বাংলায়। প্রসঙ্গত, প্রথম তিন দফায় রাজ্যে ভোটগ্রহণ মোটামুটি নির্বিঘ্নে হলেও চতুর্থ দফায় তাল কাটে। ভোট চলাকালীন  দুটি আলাদা ঘটনায় মৃত্যু হয় পাঁচজনের। কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন এবং কি পরিস্থিতিতে গুলি চালিয়েছে তার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে কমিশনে। যদিও জেলা পুলিশ এবং বিশেষ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টে বলা হয়েছে আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালায় বাহিনী। এখানে প্রশ্ন উঠছে, গোলমাল হতে পারে তার আগাম খবর কেন ছিল না? গোলমালের পর কেন একটি কুইক রেসপন্স টিম পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে।


এতবড় জমায়েত হল, তবুও সেখানে রাজ্য পুলিশ কোথায় ছিল? রাজ্য পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এবং সমস্ত ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বামফ্রন্টের তরফে ইতিমধ্যেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, সরকার গঠন করেই এই ঘটনার সিআইডি তদন্ত করবেন। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সুর আরও ছড়িয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর মূল অভিযোগ, বাহিনী বিজেপির কথায় চলছে, ভোটারদের ভয় দেখানো বা কোথাও প্রভাবিত করছে। যদিও তাতে আমল না দিয়ে নির্বাচন কমিশন আরও বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে বাকি চার দফার নির্বাচনে। 



Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post