‘নন্দীগ্রামের মতো এটাও গণহত্যা’, বললেন মমতা

 

কার্যত নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উত্তপ্ত শীতলকুচিতে থুড়ি গোটা কোচবিহারেই আগামী ৭২ ঘন্টা কোনও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী ঢুকতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার সকালে কোচবিহার যাত্রা বাতিল করে মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করলেন জলপাইগুড়িতে। সেখান থেকেও ফের তোপ দাগলেন নির্বাচন কমিশনকে। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা থেকে তিনি তুলে আনলেন শীতলকুচি প্রসঙ্গ। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুকে তিনি ‘গণহত্যা’ বলেই আখ্যা দিলেন। সেইসঙ্গে হুঙ্কার দিলেন, ‘আমরা যখন লড়ি, আমরা ভয় পাই না। আমাদের সঙ্গে যারা পাঙ্গা নিতে আসবে তারা ভেঙে টুকরো হয়ে যাবে’। এদিন জলপাইগুড়ির মঞ্চেই শহীদবেদী তৈরি করে তাতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তৃণমূলনেত্রী।


এদিন জনসভায় মমতার ভাষণের একটা বড় অংশই ছিল শীতলকুচির ঘটনা। তিনি এই ঘটনাকে নন্দীগ্রামের ঘটনার সঙ্গেও তুলনা টানলেন এদিন। তিনি বললেন, ‘শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে চার জনকে মেরে দেওয়া হয়েছে। ধিক্কার জানাই এই গণহত্যার নায়কদের। এমন গুলি চালিয়েছে যে এত বড় গণহত্যা আগে কখনও হয়নি। গণতন্ত্রের হত্যা, গণহত্যা’। এরপরই নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আশ্বাস দেন। তিনি বললেন, নির্বাচন কমিশন বলছে শীতলকুচিতে যেতে পারবেন না। কিন্তু আমি যাবই। বাহিনীর গুলিতে যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের পরিবারকে সব রকম সাহায্য করব। পরে নরেন্দ্র মোদিকে তুমুল আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, নরেন্দ্র মোদিজি আর কত হত্যা হবে। জোর করে বাংলা দখল। আপনি মন করেন জোর করে বাংলাকে গুজরাত বানাবেন? প্রথমে নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখুন। আমরা নরেন্দ্র মোদিকে, বিজেপি-কে জিততে দেব না। এরপরই উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তাঁর আহ্বান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, উন্নয়নের পক্ষে তৃণমূলকে ভোট দিন। নো বুলেট, অনলি ব্যালট।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post