ভোট চতুর্থীতে রণক্ষেত্র শীতলকুচি, মোট ৫ জনের মৃত্যুর খবর

 


কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোটের আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গেই আক্রান্ত হয়েছিলেন শীতলকুচির বিজেপি প্রার্থীও। ভোটের দিনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি শীতলকুচিতে। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। আহত আরও চার, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। সূত্রের খবর, মৃতদের নাম হামিদুল হক,মনিরুল হক,সামিয়ুল মিঞা,আমজাদ হোসেন। এর আগে শীতলকুচির ২৫৬ নম্বর বুথে দুদলের সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন এক বছর আঠারোর কিশোর। ফলে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে কমিশন, তবে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে রিটার্নিং অফিসার এবং জেলা পুলিশের কাছে। গোটা ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে।

জানা যাচ্ছে, শীতলকুচির জোড় পাটকিতে ৫/১২৬ নম্বর বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায় ওই বুথে। গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শীতলকুচি। ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী আরও বাড়নো হয়েছে। তৃণমূলের দাবি কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে চারজনের। তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাসকদলের দাবি ওই মৃত চারজনই তৃণমূলকর্মী। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা মেনে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাইল কমিশন। যদিও কমিশন প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঠিক কি হয়েছে সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। 

 


শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে সকাল থেকেই দফায় দফায় তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ছিল শীতলকুচি। সেখানকার ২৫৬ নম্বর বুথে দুদলের সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন এক বছর আঠারোর কিশোর। সূত্রের খবর, বিজেপির এক এজেন্টকে মারধোর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগেই সংঘর্ষ ছড়ায়। তখনই গুলি চলে, গুলিবিদ্ধ হয় আনন্দ বর্মণ নামে এক যুবক। জানা যাচ্ছে দীর্ঘ সময় তাঁর দেহ ওই বুথের বাইরেই পড়েছিল। ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। 


অপরদিকে দিনহাটা বিধানসভার রুয়েরকুটি উত্তর পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২৭ নম্বর বুথে দুই এজেন্টের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছেটানোর অভিযোগ উঠল। এই বুথের তৃণমূল পোলিং এজেন্টকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূল প্রার্থী। মক পোলের পরই তিনি বুথ ছেড়ে বেড়িয়ে যান বলে দাবি বিজেপির। এই ঘটনায় পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই পোলিং এজেন্টকে খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post