রাইফেল ছিনতাইয়ের চেষ্টার পরই গুলি, দাবি কেন্দ্রীয় বাহিনীর

চতুর্থ দফার ভোটে শনিবার সকালেই কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকল বঙ্গবাসী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ গ্রামবাসীর। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই, বাকি তিনজন হাসপাতালে মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। গুলিবিদ্ধ আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয়েছে জওয়ানদের। শীতলকুচির বিধানসভা কেন্দ্রের ওই বুথ ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়েছিল। তখনই আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দূবেও।


 এই বুথের বাইরেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে....

জানা যাচ্ছে, শনিবার ভোটগ্রহন শুরুর কিছু সময়ের মধ্যেই শীতলকুচির জোড় পাটকি   গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলিতে ৫/১২৬ নম্বর বুথের বাইরে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরই মধ্যে বুথ ঘিরে ফেলে কয়েকশো গ্রামবাসী। সেইসময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কাছ থেকে রাইফেল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে তারা। তখনই বাধ্য হয়ে গুলি চালান জওয়ানরা। যদিও কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়ের দাবি, বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে বাহিনী। তৃণমূল নেত্রী তথা মুখপাত্র দোলা সেনও একই সুরে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কেন রক্তাক্ত হল, কমিশনের কাছে জানতে চায় বাংলার সাধারণ মানুষ’। পাশাপাশি গুলি চালানোর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করে কমিশনকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post