‘কথাই বলতে দেওয়া হল না’, বৈঠক শেষে অভিযোগ ক্ষুব্ধ মমতা

বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা বৈঠক হয়ে গেল ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে। কিন্তু বৈঠক শেষে স্পষ্টত ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘বৈঠকে তাঁদের কোনও কথাই বলতে দেওয়া হয়নি। কোনও সৌজন্যতা নেই। চরম অসম্মানিত বোধ করছি’। নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ তিন বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এদিন প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে তাঁর দাবি, বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য তৈরি ছিলাম। বিশেষ করে অক্সিজেন ও টিকা সংক্রান্ত, কিন্তু তার সুযোগই দিলেন না প্রধানমন্ত্রী। কাউকে আর কথা বলতে দেওয়া হল না। সবার প্রতিবাদ করা উচিত। এরপরই ক্ষুব্ধ মমতার প্রশ্ন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সব ঠিক হ্যায়। তাহলে শবদেহগুলি ভেসে আসছে কোথা থেকে?  

 

প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার এই অবস্থার কথা জানানোর সুযোগই দিলেন না। রাজ্যে টিকা ঘাটতি চলেছে, অক্সিজেন আমাদের রাজ্য থেকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। রেমডেসেভির নেই। কেন্দ্রকে কে জানাব সেই সুযোগই দেওয়া হল না’। মমতার দাবি, এক তরফা অসম্মান করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির শাহেনশা সেজে বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীদের কাউকে বলতে দিলেন না। অথচ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের কেউ কেউ বলেছেন ভিন রাজ্য থেকে। তাঁদের সুযোগ দেওয়া হল। এরপরই ক্ষুব্ধ মমতার প্রশ্ন, হাতে প্রশ্ন নিয়ে পুতুলের মতো বসেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীদের যদি বলতেই দেবেন না তাহলে ডাকলেন কেন? সবশেষে বলেন, করোনা নিয়ে বৈঠকে উনি এত ক্যাজুয়াল হন কী করে। এই বৈঠক ছিল সবচেয়ে ক্যাজুয়াল ফ্লপ মিটিং।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post