জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন মোদি?

সাম্প্রতিক নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে পরাজয় এবং বাকি ৫ রাজ্যেও হতাশাজনক ফল। একমাত্র অসম ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে দাগ কাটতে পারেনি মোদি ম্যাজিক। এর সাথেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা, যেখানে এই সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেই দাবি করছে একাধিক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটি এই সঙ্কটের মুখে পড়তে পারেন তা নাকি আগেই ধারণা করেছিলেন বিজেপির তাবড় নেতারা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বেপরোয়া রাজনীতিক, ভোট চলাকালীন প্রথম আক্রমণ আসে তাঁর দিক থেকেই। তিনি জানিয়েছিলেন, দেশ যখন করোনা আবহে অস্থির তখন মোদি বাংলা দখলের নেশায় ব্যস্ত। এবারে বাংলায় পরাজয়ের পর দেশের প্রতিটি বিরোধী দল আজকের ভয়ঙ্কর সংক্রমণ তথা মৃত্যুর মিছিলে দায়ী করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। অক্সিজেন থেকে টিকা, পরিষেবা, হাসপাতালে বেডের অভাব নিয়ে সরব বিরোধীরা। এমনকি বিজেপি দলের অভন্ত্যরেও মুখ খুলছেন অনেকেই।


সম্প্রতি 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে করোনা সতর্কতার পাশাপাশি সরকারি সাহায্যের বার্তা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ওই বার্তা নিয়েই সরব বিরোধী এবং দলের অভন্ত্যরের নেতারা। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে একটি অংশের পঞ্চায়েত ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। সেখান থেকেই ভাবনা শুরু হয়েছে আগামী নির্বাচনগুলির। সূত্র মারফত জানা গেল মোদি টিমের ম্যানেজাররা দলের মধ্যে মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে। জানা গিয়েছে আরএসএসের কাছেও নাকি একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এরই মধ্যে বিরোধীরা বলছে দেশ ডুবছে আর তখন অমিত শাহরা ব্যস্ত এজেন্সিদের দিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার। বিরোধীরা কিন্তু আর পরোয়া করছে না বলে জানাচ্ছে শিবসেনা। তবে জনপ্রিয়তা কমছে নরেন্দ্র মোদির।     
 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.