রাজ্যে ভেঙে পড়েছে আইন-শৃঙ্খলা। দু দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসে মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ তুললেন জেপি নাড্ডা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বিমানবন্দরে নেমেই তড়িঘড়ি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও দলের নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করেন নাড্ডা। সাংবাদিকদের জানান, দল আক্রান্ত কর্মীদের পাশে রয়েছে।
দুদিন আগেই সোনারপুরের গোপালপুরে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন জেপি নাড্ডা। সোনারপুরেরই অন্য এক জায়গায় যান তিনি। সেখানে দলের এক কর্মী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ। জেপি নাড্ডার অভিযোগ,হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। আক্রান্তরা ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের নাম জানিয়েছেন। বিজেপি সভাপতি আরও জানিয়েছেন, দলীয় কর্মীদের পাশে রয়েছেন কোটি কোটি দলের কর্মী। বিজেপি কর্মীদের আত্মবলিদান বৃথা যাবে না। নাড্ডার আরও দাবি, আক্রান্তদের সবার বাড়িতেই যাবেন দলের নেতারা। ন্যায়বিচারের লড়াই লড়বে বিজেপি। নাড্ডার প্রতিক্রিয়া,এভাবে অত্যাচার করলে বিজেপি চুপ করে বসে থাকবে না। গণতান্ত্রিক উপায়ে জবাব বিজেপি। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে,মহিলাদের সুরক্ষা নেই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে নজর না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তোষণ, তোলাবাজির রাজনীতিতে মদত দিচ্ছেন। জেপি নাড্ডার আরও অভিযোগ, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় তৃণমূল। তৃণমূল নেতারা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব অভিযোগ উঠে আসছে, সেগুলিকে ভুয়ো। কিন্তু আক্রান্তদের স্ত্রী-ছেলের কান্না চোখে পড়ে না।
ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়াতেই দু’দিনের রাজ্য সফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সোমবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, ভোটের পর রাজ্যে বেনজির হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। এদিনই নির্বাচনোত্তর হিংসার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসমন্ত্রক।
Thank You for your important feedback