রবিবারই দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগড়িষ্ঠতা নিয়ে বংলার মসনদে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু তিনি নিজে নন্দীগ্রাম থেকে হেরেছেন। রবিবার সন্ধ্যায় প্রথমে জানা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গিয়েছেন। কিন্তু রাতেই জানা যায় পাশা পাল্টেছে, জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই থেকে শুরু চাপানউতোর। সোমবারও তার রেশ থাকল দিনভর। সয়ং মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিস্ফোরক দাবি করলেন। একটি টেক্সট মেসেজের উল্লেখ করে তৃণমূলনেত্রী দাবি করেন, ‘রাত ১১টা নাগাদ আমার কাছে একটি এসএমএস আসে। কারও কাছ থেকে আমি সেটা পেয়েছি। সেখানে নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসার লিখেছেন, যদি তিনি পুনর্গণনার অনুমতি দেন তাহলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে। এই হুমকি রয়েছে’। মমতার কথায়, ‘নন্দীগ্রামের রিটার্নিং জানিয়েছেন বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি যদি পুনর্গণনার নির্দেশ দেন, তাহলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে’। তিনি আরও বলেন, ‘চার ঘন্টা ধরে সার্ভার ডাউন করে রাখা হল। রাজ্যপাল আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। হঠাৎ পুরো বিষয়টা পাল্টে গেল। নন্দীগ্রামের দু’জন পর্যবেক্ষক পক্ষপাতদুষ্ট। তাঁরা আমাকে হারাতে চেয়েছিল’।
তবে ঠিক কার কাছ থেকে ওই মেসেজ তৃণমূলনেত্রী পেয়েছেন সেটা খোলসা করেননি। এদিনও তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি যে আদালতে যাবেন বলেও জানালেন। মমতার দাবি, এখানকার ইভিএম, ভিভিপ্যাড বা ভোটের সরঞ্জাম সব আলাদা করে রেখে দেওয়ার কথাও বলেছেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘৮ হাজারের উপর এগিয়ে থাকার মার্জিন এক নিমেষে কী করে শূন্য হয়ে যায়? ইচ্ছা করে সার্ভার ডাউন করে রাখা হয়েছিল। না হলে সারা বাংলার এমন ফলাফল, আর নন্দীগ্রামে আলাদা ফল কী ভাবে হয়?’ সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানেই নতুন মন্ত্রীসভা গঠন এবং শপথগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
Post a Comment
Thank You for your important feedback