দায়িত্ব নিয়েই ফিরহাদ বললেন শহরে ইলেকট্রিক বাসে জোর, বন্ধ হবে ওভারলোডিং

বদল হলেও গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহভাজন ফিরহাদ হাকিম। শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে যাওয়া পরিবহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে ফিরহাদকে। তিনি কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসকও বটে। ফলে আগামী দিনে কঠিন চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে। মঙ্গলবার তিনি পরিবহণ দফতরের দায়িত্বভার নিলেন। প্রথমেই দফতরের বিভিন্ন শাখার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। পরে সিএন নিউজকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন ফিরহাদ হাকিম। জানালেন পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। করোনা অতিমারীর জেরে রাজ্যে ধুঁকতে থাকা পরিবহণ ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করে কিভাবে পরিষেবা জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দেবেন সেটাও জানালেন। ফিরহাদ হাকিম এদিন জানান, শহর কলকাতায় দূষণ কমানোর উদ্যোগ নেওয়াই হবে তাঁর প্রাথমিক কাজ। 

প্রথম দিনই শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন শহরের বুকে বেশি সংখ্যক ইলেকট্রিক বাস চালানোর। ফিরহাদ হাকিমের যুক্তি, শহরের দূষণ অনেকটাই বেশি। তাই ইলেকট্রিক বাস বেশি চালিয়ে দূষণ কমানো, এবং শহরে বাতিল হওয়া বাস জেলায় জেলায় পাঠিয়ে সেখানের পরিবহণ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাইছেন তিনি। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, জেলায় খোলামেলা জায়গায় দূষণ কম, তাই সেখানে কলকাতার বাতিল বাস আপাতত পাঠানো হবে। পরে জেলাতেও পরিকাঠামো গড়ে পরবর্তী সময়ে ইলেকট্রিক বাস চালানো হবে। আপাতত কলকাতায় বেশি সংখ্যক চার্জিং পয়েন্ট তৈরি করার ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ই-বাসের সংখ্যা বাড়লে সেই ভাড়া বাড়ানোর চাপ থাকবে না বলে মনে করছেন নতুন পরিবহণমন্ত্রী।

 


অপরদিকে পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ফিরহাদ হাকিম ওভারলোডিং বন্ধের ওপর জোর দিতে চলেছেন। তিনি এদিন জানান, ‘ওভারলোডিং একটা বড় দুর্নীতি। টেম্পোরারি ওয়ে ব্রিজ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে ওভারলোডিং হচ্ছে কিনা দেখা যায়’। তিনি আরও বলেন, ‘ওভারলোডিংয়ের জেরে রাস্তা খারাপ হচ্ছে, দূষণ বাড়ছে। ওভারলোডিং হলে জরিমানা যা আছে তা আরও বাড়ানো হবে। কারণ তার জন্যে রাস্তা খারাপ হচ্ছে’। অপরদিকে, করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ লোকাল ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছেন তিনি। অটো নিয়েও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সরকারের বেধে দেওয়া রেটের বেশি ভাড়া যদি অটো চালকরা নিয়ে থাকেন তবে তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পাশাপাশি পরিবহণ শ্রমিকদের করোনার টিকা দেওয়ার কর্মসূচিও চালু করে দিল পরিবহণ দফতর। মঙ্গলবার প্রথমদিন ১০০ জন টিকার প্রথম ডোজ পেলেন। পরবর্তী সময় থেকে রোজ ৫০০ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post