
নিজের পুত্রসন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে মারার অভিযোগ উঠল মা ও মাসির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কর্নজোড়া কালীবাড়ি এলাকায়। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ দেড়মাসের শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত মা ও মাসিকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কর্নজোড়া কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রতন বর্মনের সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় উর্মিলার। একটি দেড় মাস আগে তাঁদের একটি পুত্রসন্তানও হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। সন্তান জন্মানোর পরই উর্মিলা বাপের বাড়ি চলে যায়। শুক্রবার সকালেই সে দিদি কল্পনাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে এসেছিল। প্রতিবেশীরা আচমকাই দেখতে পান রতনের বাড়িতে তাঁদের দেড়মাসের পুত্র সন্তান নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেড়িয়ে মাটিতে পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, সেসময় শিশুটির মা উর্মিলা ও মাসী কল্পনা বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। প্রতিবেশীরাই তাঁদের আটক করেন। সেসময় রতন বাড়ি ছিলনা। প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের জেরা শুরু করেন তাঁরা। রতনের পরিবারের দাবি, উর্মিলা নিজের সন্তানকেই মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পুরো ঘটনা অস্বীকার করছে উর্মিলা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান প্রশান্ত দাস। তিনিই খবর দেন কর্নজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
Post a Comment
Thank You for your important feedback