‘শরীরে বড় রোগ থাকলে ট্রেনে উঠবেন না’, আহ্বান রেলের

মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধান। ফের শ্রমিক ট্রেনে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। দিন কয়েক আগেই প্রচণ্ড গরমে জল না পেয়ে বিহারের মুজফ্ফরপুরে এক মহিলা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। এবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি স্টেশনে একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল এক শ্রমিকের নিথর দেহ। ট্রেনটি জীবাণুনাশ করার সময়ই দেহটি দেখতে পান সাফাইকর্মীরা। শ্রমিক ট্রেনগুলির চুরান্ত অব্যবস্থা ও খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা ঠিকঠাক না পাওয়া নিয়ে সরব হচ্ছেন যাত্রীরা। বিরোধীদের দাবি, রেলের অবহেলা ও অব্যবস্থার জন্যই মৃত্যু হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর দায় ঝাড়ল রেল। শুক্রবারই অ্যাডভাইজরি জারি করল রেল।মন্ত্রক জানিয়ে দিল, খুব প্রয়োজন না হলে অসুস্থ ব্যক্তিরা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে চাপবেন না। রেল জানিয়েছে, অনেকেই অসুস্থ অবস্থায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে উঠছেন। এই কোভিড সংক্রমণের সময় তাঁদের আরও শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরকমই কয়েকজন মারা গিয়েছেন ট্রেনগুলিতে। রেলের বক্তব্য, যাদের কো-মর্বিডিটি আছে তাঁরা যেন এই মুহূর্তে ট্রেনে চাপেন। অর্থাহাইপারটেনশন, ডায়াবিটিস, হৃদরোগ, ক্যানসার, গর্ভবতী, ১০ বছরের কম বয়সী শিশু ৬৫ বছরের ওপর বয়স্কদের আপাতত শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে চাপতে না করছে রেল। প্রয়োজনে হেল্পলাইন নম্বর ১৩৯ ১৩৮-তে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post