লাদাখের চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) সেনা সমাবেশ বাড়ালে ভারতও পাল্লা দিয়ে সেনা মোতায়েন বাড়াবে। মঙ্গলবার রাতেই এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর তিন বাহিনীর সেনাপ্রধানদের এই নির্দেশ দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই পরিস্থিতিতে রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংফিং মঙ্গলবার সে দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে চিনা সেনার প্রশিক্ষণ বাড়ানো’-র উপরে জোর দিয়েছেন তিনি। চিনের প্রেসিডেন্ট ওই বার্তায় আরও বলেছেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে’। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের নাম না নিয়েও ভারতকেই বার্তা কড়া দিতে চেয়েছেন চিনের সর্বোচ্চ শাসক। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইন্দো-চিন সীমান্তের তিনটি জায়গায় উত্তেজনা বেড়েছে। ওয়েস্টার্ন সেক্টরে লাদাখে ভারতের রাস্তা তৈরি নিয়ে আপত্তি তোলে চিন। অন্যদিকে লাদাখের প্যাংগং লেক ও গালওয়ান উপত্যাকায় এবং উত্তর সিকিম সীমান্তে ভারতীয় সেনা এবং চিনা লালফৌজ মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বুধবারই উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজমুকুন্দ নরবণে তিন বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মঙ্গলবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী চিন সমস্যা নিয়ে বৈঠকে করেছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও। পাশাপাশি তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। জানা যাচ্ছে, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, তিব্বতের গারি গুনশা ঘাঁটিতে চলছে বড়সড় নির্মাণকাজ। সেখানে হাজির বেশ কিছু যুদ্ধবিমানও। পাশাপাশি সেনাবাহিনী সূত্র মারফৎ জানতে পেরেছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) ওপারে চিন প্রায় হাজার দশেক সেনা মোতায়েন করেছে। এরসঙ্গেই চিনা প্রেসিডেন্টের বক্তব্য নতুন করে সংঘাতের পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, চিন যদি লালফৌজের সংখ্যা বাড়ায় ও আধুনিক সমরাস্ত্র মজুদ করে, তবে ভারতও পিছিয়ে থাকবে না।
ইতিমধ্যেই লাদাখ ও উত্তরাখণ্ডের চিন সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনার সংখ্যা বাড়াতে শুরু করেছে ভারত।In addition to senior military commander level talks, parallel diplomatic channels in New Delhi and Beijing are also working towards a peaceful resolution: Top sources to ANI— ANI (@ANI) May 26, 2020
Post a Comment
Thank You for your important feedback