এবার ২১ শে জুলাই কি ‘ভার্চুয়াল’ সভা?


রাজ্যে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এরপরও যে পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক হবে সেই নিয়ে ঘোর সংশয়ে রয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ফলে আগামী ২১ জুলাইয়ের জনসভা নিয়ে কী হবে? তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সোমবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনিও পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘সেদিন কী হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি’। উল্লেখ্য, প্রতিবছরই ২১ জুলাই শাসকদল বিশাল জনসভা করেন। তৃণমূলের শহিদ দিবস পালন উপলক্ষে সারা রাজ্য থেকেই লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক জড়ো হন কলকাতায়। এবারের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। কারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে ২১-শে জুলাইয়ের জনসভা নিয়ে চরম অনিশ্চিয়তায় তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, শাসকদলের অন্দরেও এবার ভার্চুয়াল র‍্যালির চিন্তাভাবনা চলছে।

কারণ প্রতিবছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে পরিমাণ লোক আসে, তা এ বছর সম্ভব হবে নয়। তাই বঙ্গ বিজেপির পথ ধরে এবছর সেই ভার্চুয়াল র‍্যালিতেই ভরসা রাখতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসেননি বলে নিজেই জানিয়েছেন। তবে সোমবার তিনি এও বলেছেন, এই ভার্চুয়াল র‍্যালি করতে বিজেপি কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। যেটা তৃণমূলের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে ২১ শে জুলাইয়ের তৃণমূলের সভা নিয়ে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আগামী বছর সময় মেনে বিধানসভা নির্বাচন হলে এবারই শেষ ২১ শে জুলাই। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে কার্যত ভোটের প্রচার শুরু করতে এই সভা বড় মঞ্চ হতে পারে। সেই দিক থেকে এবছর এই সভার গুরুত্ব অসীম। আবার পরিস্থিতি অনুযায়ী এবছর লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত করানো যাবে না। এই করোনা আবহে ভার্চুয়াল বা ই-র‍্যালিতেই ভরসা রাখতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, দলের সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই ২১ শে জুলাই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post