চিন নিয়ে প্রশ্ন অভিষেকের, জবাবে অমিত শাহ মনে করালেন ‘সার্জিকাল স্টাইক’


বাংলায় এই প্রথম কোনও ভার্চুয়াল বা ই-র‍্যালি। বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার সকালে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভাষণ দিলেন। তাঁর ভাষণ শুনলেন বাংলা ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালিরা। আর প্রত্যাশামতোই তিনি বাংলায় বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন। পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র রাজনৈতিক আক্রমণ করলেন। কিন্তু তার আগেই যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ টুইট করে অমিত শাহকে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। তৃণমূল নেত্রীর পরই রাজ্য রাজনীতিতে ‘সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড’ বলে পরিচিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ভারতীয় জনতা পার্টির ‘সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড’ অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে ট্যুইট করেন। তিনি টুইটে লেখেন, ‘মাননীয় অমিত শাহজি, এই সঙ্কটের সময়ে বাংলা আপনার মুখ থেকে একটাও কথা শুনতে পায়নি, কিন্তু এই প্রশ্নটার জবাব দেওয়ার জন্য আপনি আজ ১ মিনিট সময় দেবেন বলে আমাদের আশা: চিন আমাদের ভূমির অংশ দখল করেছে কি না?’

এদিনের ভাষণে অমিত শাহ অবশ্য সরাসরি কোনও উত্তর দেননি। তবে তিনি ঘুরিয়ে জানিয়ে দিলেন, কঠিন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বসে থাকেন না। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশে ইউপিএ সরকার ছিল, তখন রোজই পাকিস্তানি সেনা ও জঙ্গি দেশে ঢুকে ভারতীয় জওয়ানদের মাথা কেটে নিয়ে যেত। তখন ইউপিএ সরকারের মাথারা সেটা নিয়ে টুঁ শব্দ করেননি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সেই পথে হাঁটেন না। তাঁর আমলে পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে মেরে এসেছে ভারতীয় সেনা। মোদিজির আমলেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক হয়েছে। এরপরই তিনি বলেন, সীমান্তে কোনও সমস্যা হলে ভারত বসে থাকবে না। কেউ যদি ভারতের বীর জওয়ানদের সঙ্গে ‘ছেরখানি’ করে তবে তাঁদের পরিণাম ভুগতে হবে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোদি সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। অভিষেকের প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ চিন সীমান্ত নিয়ে কোনও কথাও বলেননি। আর এটাকেই হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল।

শাহ-র সভার পরই ফের টুইট করেন অভিষেক। সেখানে তিনি লেখেন, ‘একটা মাত্র প্রশ্ন করেছিলাম , তার উত্তর কেন দিলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?’ তিনি আরও লেখেন, আসল কথা না বলে তিনি তৃণমূলের প্রস্থানের স্বপ্ন দেখালেন। তার চেয়ে বরং বলুন চিন কবে আমাদের এলাকা থেকে প্রস্থান করবে। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভার্চুয়াল র‍্যালির পরই রাজ্যের তৃণমূলের মহাসচিব লেখেন, ‘অমিত শাহ এই করোনা মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গ দখলের কথা বলছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে উনি (অমিত শাহ) কেবল ভোটের কথাই ভাবেন। ওনার মুখটা চিনে রাখুন’। সবমিলিয়ে অমিত শাহর এই ই-জনসভা থেকেই রাজ্যে ভোটের দামামা বেজে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post