আরও একবার বদলানো হল ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা। আগে বলা হয়েছিল ২৫ লাখ টাকার লগ্নি ও ১০ লাখ টাকার ব্যবসা রয়েছে তারাই এমএসএমই বলে গণ্য হবে। এখন ১ কোটি পর্যন্ত লগ্নি ও ৫ কোটির ব্যবসা রয়েছে যাদের সেই ক্ষুদ্র শিল্পকে এর আওতায় আনা হল। সব ক্ষুদ্র শিল্পের লগ্নির সীমা ৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি করা হল। ব্যবসার পরিমাণ ২ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কোটি করা হল। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এইসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রকের সুপারিশ ছিল লগ্নি পরিমাণ ১০ থেকে বাড়িয়ে ২০ কোটি করার এবং ব্যবসার পরিমাণ ৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকা করার। কিন্তু শিল্পমহলের দাবিমতো তা করা হয়েছে লগ্নির ক্ষেত্রে ৫০ কোটি এবং মোট ব্যবসার পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে রফতানি থেকে যা লাভ হবে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। রাস্তার হকার, চর্মকার, সেলুন মালিকদের জন্য ৫০ হাজার কোটির প্যাকেজ তৈরি হয়েছে। এর ফলে ১০ হাজার টাকার ঋণ নিতে পারবেন। ২৫ লাখ ক্ষুদ্রশিল্পের পুনর্গঠনের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। তাদের জন্য ২৫ হাজার কোটির দুর্গত তহবিল গড়া হয়েছে। এছাড়া, ব্যাঙ্কঋণের ওপর নির্ভরতা কমাতে সরকার ওই কোম্পানিগুলির ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার কিনে নেবে। তার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে, ১৪টি খারিফ শস্যের ন্যূনতম সংগ্রহমূল্য ৫০ থেকে ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া, কৃষকরা ঋণশোধের জন্য বাড়তি সময়ও পাবেন। তাঁদের জন্য কিষাণ ক্রেডিট কার্ডও দেওয়া হবে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback