লাদাখ সীমান্ত: বুধবারও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, জানাল চিন


ভারত-চিনের প্রকৃত নিয় ন্ত্রনরেখায় (LAC) পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। উত্তেজনার আঁচ কমিয়ে বুধবার ফের বৈঠকে বসেছিল দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ডিভিশনাল কম্যান্ডার স্তরের বৈঠক হল। তবে বৈঠক ঠিক কী কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেটা নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। তবে সূত্রের খবর, স্পষ্ট ও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। গত সপ্তাহের শনিবার সামরিক স্তরের শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল। সেই আলোচনার পর বরফ কিছুটা গলেছিল বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছিল। গালওয়ান উপত্যকায় কিছুটা সেনা পিছিয়েছে চিন। সেনার সংখ্যা কমিয়েছে ভারতও। বুধবার ফের সেনা স্তরে আলোচনা হল গালওয়ানের প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছে। ভারতের তরফে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল অভিজিৎ বাপট, যিনি কারুর তৃতীয় ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কম্যান্ডার। জানা যাচ্ছে, গালওয়ান উপত্যকার যে তিন জায়গায় সমস্যা ছিল, সেখানে সেনা সরাতে শুরু করেছে চিন। পূর্ব লাদাখে সংঘাতের কেন্দ্র হিসেবে মূলত ৪টি এলাকার নাম উঠে এসেছে। সেগুলি হল পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ (গলওয়ান উপত্যকা), পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫, পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ (হট স্প্রিং এলাকা) এবং প্যাংগং লেকের কাছে ফিঙ্গার-৪ এলাকা। এই চারটি এলাকাতেই চিনা সৈন সীমান্ত লঙ্ঘন করে এগিয়ে এসেছিল বলে দাবি করেছিল ভারত। ফলে চিনা বাহিনীকে আটকাতেই বড়সড় সৈন সমাবেশ করেছিল ভারত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত যে এত দ্রুত ব্যবস্থা নেবে সেটা ভাবতে পারেনি চিন। পাশাপাশি ভারত-চিন অচলাবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। ফলে একাধিক দেশ নজর রাখছে দু-দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে। এর মধ্যেই গত ৬ জুন দুদেশের কোর কম্যান্ডারদের মধ্যে ইতিবাচক বৈঠক হয়। এরপরই ধাপে ধাপে দুদেশ প্রকৃত নিয় ন্ত্রনরেখা (LAC) থেকে ধাপে ধাপে নিজেদের সেনা সরিয়ে নেয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ (গলওয়ান উপত্যকা), পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ এবং পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ (হট স্প্রিং এলাকা) থেকে নিজেদের সেনাবাহিনী ফিরিয়ে নিয়েছে দু’দেশই। ওই তিনটি এলাকা থেকে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার করে পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে বাহিনীকে। তবে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি প্যাংগং লেকের আশেপাশে। যেটা সামরিক পরিভাষায় ফিঙ্গার-৪ এলাকা বলে পরিচিত।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post