
৭২ ঘন্টার ট্রেনযাত্রার ধকল নিতে পাড়ল না একরত্তি। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে মায়ের কোলেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ল ১৮ দিনের শিশুকন্যা। গত ৮ জুন কেরল থেকে ১৮ দিনের সদ্যজাত ও ৪ বছরের মেয়ে ও বউকে সঙ্গে নিয়ে নিউ জলপাইগুড়িগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে চেপেছিলেন দিলদার আনসারি। কেরলে ব্যাগের কারখানায় কাজ করা এই শ্রমিক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনেই ফিরছিলেন পুরুলিয়া। ৭২ ঘন্টার এই ট্রেন যাত্রায় প্রচন্ড গরমে কাহিল হয়ে পড়ে সদ্যজাত। ফলে ট্রেনেই মৃত্যু হয় ওই ১৮ দিনের শিশুটির। ওই শ্রমিকের দাবি, রেলের হেল্পলাইন ১৩৯-এ ফোন করেও কোনও সাহায্য পাননি তিনি। যদিও ততক্ষণে মারা গিয়েছে শিশুটি।

ঠিক কী হয়েছিল? দিলদারের দাবি, কেরল থেকে ট্রেনে চাপার সময় সুস্থই ছিল শিশুটি। কিন্তু পথে প্রচন্ড গরমে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে ট্রেন অন্ধ্রপ্রদেশে ঢোকার পরই বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে আচমকাই গরম অনেকটা কমে যায়। ফলে গরম থেকে ঠান্ডার ধকল হয়তো নিতে পারেনি ১৮ দিনের শিশুটি। তাঁর দাবি, ওডিশার বেরহামপুর থেকে বালেশ্বর এর মাঝে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে কোলের শিশু। দিশেহারা হয়ে তাঁরা দফায় দফায় রেল পুলিশ ও গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোনও সহায়তা পাননি তাঁরা, উল্টে রেলের হেল্পলাইনে ফোন করলে তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যোগযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মৃত শিশুর বাবার। বুধবার গভীর রাতে ট্রেনটি খড়গপুর স্টেশনে এলে মৃত শিশু-সহ পুরো পরিবারকে ট্রেন থেকে নামিয়ে আনে রেল কর্তৃপক্ষ। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ। যদিও প্রাথমিক অনুমান রেলের ধকল সইতে না পেরেই মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাত এই শিশুকন্যার।
Post a Comment
Thank You for your important feedback