
চরবৃত্তির অভিযোগে পাক হাইকমিশনের দুই আধিকারিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিল ভারত। ওই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে সোমবারই এফআইআর দায়ের হয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল দিল্লির করোলবাগ এলাকা থেকে আবিদ হুসেন (৪২) ও মহম্মদ তাহির (৪৪) নামে ওই দুই পাক আধিকারিককে রবিবার আটক করেছিল। অভিযোগ, টাকা ও আইফোনের লোভ দেখিয়ে এক রেলকর্মীর কাছ থেকে সেনাবাহিনীর যাতায়াত সংক্রান্ত তথ্য জোগার করছিলেন ওই দুজন পাক আধিকারিক। অর্থাৎ রেলপথে ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনী কোথায় কোথায় যাচ্ছে সে সংক্রান্ত তথ্য জানার চেষ্টা করছিলেন ওই দুজন। এমনকি তাঁরা এই কাজে নিজেদের ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। ভারতীয় আধার কার্ডও দাখিল করেছে তাঁরা। যদিও দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। এই দুজনের সঙ্গে তাঁদের গাড়ির চালক জাভেদ আখতারকেও আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। সেনা গোয়েন্দা, স্পেশ্যাল সেল ও আইবি’র একটি যৌথ দল এই অভিযান চালায়।

দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনীল মিত্তল জানিয়েছেন, আবিদ হুসেন নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন গৌতম। এমনকি তাঁর দাদা মিডিয়ায় কাজ করেন বলেও দাবি করেছিলেন। তিনি ভারতীয় রেলের ওপর একটা স্টোরি লিখতে চান। তাই দাদার হয়ে তিনিই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করছেন। এর জন্য তিনি মোটা টাকা দিতেও রাজি আছেন বলে টোপ দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ধৃত দুজনই পাক হাইকমিশনে ভিসা বিভাগে কর্মরত। যদিও তাঁরা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। এমনকি জেরায় তাঁরা এও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে কাজ করছিলেন। তবে এক বছর ধরেই এই দুজন ভারতীয় গোয়েন্দা ও সেনা গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন। এবার একেবারে হাতেনাতেই ধরা হয়েছে তাঁদের। সোমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই দুই পাক আধিকারিককে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে। এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। যদিও পুরো ঘটনা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়ে দিল্লির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে পড়শি দেশ।
Post a Comment
Thank You for your important feedback