ধূ ধূ মরুভূমির মধ্যে একটা কালো স্তম্ভ। বড়শিংওয়ালা ভেড়া গোনার জন্য হেলিকপ্টারে ওড়ার সময় হঠাৎই নিরাপত্তাকর্মীদের নজরে পড়ে সেটি। আমেরিকার উটায় এই কালো স্তম্ভ নিয়ে এখন রীতিমতো হই চই। কেউ বলছে, এটা ভিনগ্রহের প্রাণীদের কারবার। তারাই এসে বানিয়েছে এটা। কারও মতে, এই গ্রহের কোনও শিল্পীরই কাজ।
মাথা ঘামাচ্ছেন বিজ্ঞানীরাও। এই লম্বা, ধাতব, জ্যামিতিকভাবে নিখুঁত আয়তক্ষেত্র কে বানিয়েছে তা নিয়ে ধন্দ তাঁদেরও। লাল পাথরের মাঝে তা পুঁতেই বা গেল কারা, জানা যাচ্ছে না তাও। মরুভূমির এই পরিবেশে তা একেবারেই বেমানান। স্ট্যানলি কুব্রিকের ২০০১, আ স্পেস ওডিসি ফিল্মের মতো কোনও শিল্পী এই কাজ করেছেন কিনা জানা যায়নি তাও। যদি তা হয়, তবে নিশ্চিতভাবেই সেই শিল্পী ভিনগ্রহের নন। মরুভূমি শিল্প আমেরিকার দক্ষিণপূ্র্বে নতুন কিছু নয়। এটা তেমনই হতে পারে।
সে যাই হোক, লোকের জল্পনা কমছে না। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি জমিতে এভাবে শিল্পকর্ম স্থাপন করাটা বেআইনি। মনে করা হচ্ছে, এই স্তম্ভটি সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। অন্য অনেকের মতে, তার যাবতীয় রহস্য নিয়ে ওখানেই থাকুক সেটি।
Post a Comment
Thank You for your important feedback