বাংলাকে শান্ত করতে বিজেপিকে ভোট দিনঃ দিলীপ ঘোষ



রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক তরজার সুর চড়ছে। বুধবার বাঁকুড়ায় জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  প্রায় একই সময়ে বীরভূমের সিউড়িতে জনসভা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এই সভা থেকেই তিনি শাসকদলকে বিদ্ধ করলেন তীব্র রাজনৈতিক আক্রমণে। বললেন, পরিবর্তন না এলেও ক্রমশ জটিল হবে রাজ্যবাসীর অবস্থা, বাড়বে সন্ত্রাস। পাশাপাশি সরকার থেকে শুরু করে শাসকদলের নেতা-নেত্রী এবং পুলিশ আধিকারিক, সকলকেই নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিনের জনসভার আগে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটকে মারধোরের অভিযোগ ওঠে। এমনকি গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। 

এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমি বীরভূমে দাঁড়িয়েই বলে যাচ্ছি, বিজেপি কর্মীরা মার খাওয়ার জন্য জন্মায়নি। কেউ যদি মনে করে চোখ দেখিয়ে বিজেপিকে আটকে দেবে, সেটা কি আপনারা মেনে নেবেন? এরপরই বিজেপি কর্মী খুনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই রাজ্যে ১২০ জনের বেশি বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াইয়ে। তাঁদের বলিদান ব্যর্থ হবে না। রাজ্যে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে। এদিনের সভা থেকে পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদেরও কার্যত হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘পুলিশকেও ছাড়ব না। মে মাসের পর সব হিসেব সুদে আসলে বুঝে নেব’। এরপরই তিনি বলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় না এলে বাংলার শান্তি কোনওভাবেই ফিরবে না। তাই বাংলাকে শান্ত করতে বিজেপিকে ভোট দিন’।


 এদিন সকালে বীরভূমের সিউড়িতে এক চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেও তিনি রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘যে জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসক তৃণমূলের অফিসে বসে জ্ঞান শোনেন, তাঁদের কাছ থেকে আর কী–ই বা আশা করা যেতে পারে। তাঁরা রাজনৈতিক দলের কর্মীর মতো ব্যবহার করছেন’। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসে থাকেন পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকরা। বেশিরভাগই শাসকদলের দলদাস হিসেবে কাজ করছেন। 

 

থানার ওসি-আইসিদেরও নিশানা করেন তিনি। দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘থানার ওসি–রা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হয়ে গিয়েছেন আর পুলিশ সুপাররা হয়ে গিয়েছেন জেলা সভাপতি’। পাশাপাশি রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গেও শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। এছাড়া বাংলা থেকে একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার প্রসঙ্গেও মমতা সরকারকে তুলোধনা করলেন তিনি। ফলে করোনা সংক্রমণে গতি কমতেই রাজনৈতিক ময়দানে গতি বেড়েছে। ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই সুর চড়ছে রাজনৈতিক দলগুলির।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post