মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অথচ প্রায় আটমাস পার হলেও রাজ্যে করোনার দাপট কমেনি। বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। অপরদিকে দৈনিক মৃত্যুর হার সামান্য বেড়েছে। ফলে স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ কমার লক্ষণ নেই। আবার সদ্যসমাপ্ত দুর্গা, কালী ও ছটপুজোর পর সংক্রমণে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অন্তত পরিসংখ্যান তাই বলছে।
রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের দেওয়া সর্বশেষ বুলেটিন (২৪ নভেম্বর) অনুযায়ী রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৫৪৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬২ জন। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৮,১২১ জন। তবে রাজ্যে এখন অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৮৮০ জন। এই পরিসংখ্যান কাটাছেঁড়া করলে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলাই মূলত করোনার হাব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৭ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৮১৬ জন। ফলে মোট সংক্রমিতের সিংহভাগই এই দুই জেলার বাসিন্দা। আবার দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনা কলকাতাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে, ৪৯ জন মৃতের মধ্যে ১৫ জনই এই জেলার বাসিন্দা। স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কা, পুজোর মরশুমের পর এই দুই জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর পাশাপাশি ছটপুজোর নিরিখেও এই জেলায় পূণ্যার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দুর্গাপুজো ও কালীপুজোতে নিয়ন্ত্রণ থাকলেও ছটপুজোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
Post a Comment
Thank You for your important feedback