বাংলাকে বামেদের থেকেও পিছিয়ে দিয়েছেন মমতাঃ ভার্চুয়াল ভাষণে অমিত তোপ

রবিবার বঙ্গ বিজেপির মেগা যোগদান মেলায় সশরীরে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসে বিস্ফোরণের জেরে বাতিল হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বঙ্গ সফর। তবুও সময় বের করে এদিন দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিলেন অমিত শাহ। যথারীতি তোপ দাগলেন রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশ্যে। নিজের ভাষণে এই সভায় উপস্থিত থাকতে না পারার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কথা দিয়েও ডুমুরজলায় না আসতে পারায় আমি দুঃখিত’। এরপর রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘বাংলাকে বামেদের সময় থেকে পিছিয়ে দিয়েছেন মমতা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গের গরিবা মানুষরা, তার জন্য মমতাজী দায়ী’। তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে বাংলায় পরিবর্তন করেছিল মানুষ। কিন্তু এই দশ বছরে কী হল? বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আপনি পিছিয়ে দিয়েছেন। এরপরই বঙ্গে পদ্ম ফোটানোর আহ্বান করে অমিত শাহ বলেন, ‘বাংলায় ক্ষমতায় আসার প্রথম মন্ত্রিসভার আলোচনাতেই আমরা ঠিক করব, যাতে পুরো রাজ্যের মানুষ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পান। কারণ বাংলার মানুষদের বোকা বানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। 


এদিনের ভাষণে আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রচারের রণকৌশলও খানিকটা ঠিক করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বিজেপি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষদের বোঝান যে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকা কিভাবে পৌঁছাতে দেয়নি রাজ্যের তৃণমূল সরকার। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ভারতে অনুপ্রবেশ রুখতে পারেনি এই সরকার, উল্টে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢোকার পথ করে দিচ্ছে। এরপরই তৃণমূল নেত্রীকেও আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বললেন, ১০ বছরে উধাও হয়েছে মা মাটি মানুষের স্লোগান, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটাই নীতি, ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো। 


এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও তোপ দাগলেন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেলন, বাংলার দুর্ব্যবস্থার জন্য দায়ি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্দেশ্যে স্মৃতি ইরানির সরাসরি প্রশ্ন, কেন বাংলার গরিব মানুষের এই অবস্থা জবাব দিন দিদি। আপনাকে জবাব দিতেই হবে? লকডাউনে রাজ্যের শাসকদল লুঠ করেছে বলতেও ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘লকডাউনের সময় মোদীজি বিনামূল্যে খাবার দিয়েছেন, আর দিদির দল তা লুঠ করেছে। তাই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে 'চুপচাপ পদ্ম ফুলে ছাপ দিন’। এরপরই পরিস্কার বাংলায় তিনি বলেন, ‘আমফানের সময় মোদীজির টাকা দিদির কর্মীরা লুঠ করেছে’।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post