‘বাংলার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ চাই’, ডুমুরজলার মঞ্চে বললেন রাজীব

হাওড়া ডুমুরজলায় বিজেপির মেগা যোগদান মেলা এবং জনসভা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই জনসভা ঘিরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা রয়েছে তুঙ্গে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সভা মঞ্চে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী। মঞ্চে রয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালি ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রুদ্রনীল ঘোষ, পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়রা। রযেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

নিজের ভাষণে শুভেন্দু অধিকারীর ভুয়ষী প্রশংশা করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, শুভেন্দু গণআন্দোলনের ফসল, তাঁর জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি নতুন মাত্রা পাবে। বাংলায় পরিবর্তনের পরিবর্তন হবে। তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে এই মাঠেই সভায় বক্তৃতা করেছিলাম। তখনও দেখেছি এখনও দেখছি, বাংলায় পরিবর্তন শুধু সময়ের অপেক্ষা। মুকুল রায় বলেন, বাংলায় নির্বাচনের আর ১০০ দিন মতো বাকি, এরমধ্যে রাজ্যে পরিবর্তন হবে।  

মঞ্চে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও নিজের ভাষণে পুরোনো দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন। শুভেন্দু জানান, ২০০৪ সাল থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া রয়েছে। তাই তাঁরা একযোগে বাংলার জন্য ভালো কাজ করবেন। এই ভালো কাজের জন্যই শুভেন্দু গত ১৯ ডিসেম্বর বিজেপি এসেছিল আজ রাজীবও এলেন। আমি ও রাজীব রাজ্যের উন্নয়নের শপথ নিয়েছি। বিজেপিতে আমাদের বৃত্ত পূর্ণ হয়েছে। এরপরই  শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ২ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে ফাঁকা করে দেব, কেউ আর তৃণমূল করবেন না। 


এরপরই মঞ্চে ওঠেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ভাষণে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দিলেন এই প্রথমবার বিজেপির হয়ে বক্তব্য রাখছি। এরপরই তিনি বলেন, একজন সাধারণ কর্মী হিসেবেই তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করবো এবং ২০২১ সারা বাংলায় পদ্ম ফোটাব। তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির কোনও কর্মীকেও আঘাত করব না, আমি আমার পুরোনো দলেও কাওকে আঘাত করিনি কখনও’। পুরোনো দলের প্রতি নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে রাজীব বলেন, তৃণমূল অপ্রচার করছে, ওদের দলে থাকলে উন্নয়নের কাণ্ডারি আর অন্য দলে গেলেই সমালোচনা করবে। আমি দরকারে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে প্রচার করবো, রাজ্যের ২৯৪টি কেন্দ্রেই বিজেপির হয়ে প্রচার করবো। তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে, আমরা রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের সন্ত্রাসের মোকাবিলা করবেন বলেই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ভাষণে নিজের ভিসনও জানালেন রাজীব। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র রাজ্যের সুসম্পর্ক না থাকলে রাজ্যের উন্নয়ন হয় না। আমরা চাই ডবল ইঞ্জিন সরকার’। এরজন্য যে তাঁরা দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে বিশেষ প্যাকেজও চেয়েছেন সেটাও জানাতে ভোলেননি তিনি। রাজীব এদিন বলেন, ‘বাংলার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ চাই, ঋণ মকুব করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে, বলেছি অমিত শাহজি-কে’। নিজের জেলা হাওড়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘হাওড়ায় শিল্প তৈরি হবে, এখন শ্মশান হয়ে গিয়েছে, আমরা ক্ষমতায় এলে এখানে শিল্পে ভরিয়ে তোলা হবে’। এরপরই রাজীব স্লোগান তোলেন, চুপচাপ, পদ্মফুলে ছাপ।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post