তৃণমূল আজ পথ হারিয়েছে, রায়দিঘিতে কটাক্ষ শোভনের

ডায়মন্ডহারবারের পর এবার মথুরাপুরে সাংগঠনিক সভা করলেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। রায়দিঘি বিধানসভার মথুরাপুর-২ ব্লকের একটি মাঠে জনসভাও করেন শোভন-বৈশাখী। একসময় শাসকদলে থাকাকালীন তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি ছিলেন। ফলে এই এলাকা তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। কিন্তু দলবদলে এখন শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে। তাঁকে বিজেপির কলকাতা সংগঠনিক জোনের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। সহ আহ্বায়ক করা হয়েছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলে সময় নষ্ট না করেই তিনি কলকাতা লাগোয়া এই অঞ্চলে বিজেপির সংগঠন ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। 

রায়দিঘি বিধানসভা কার্যত তৃণমূলের শক্ত দুর্গ। এখানে বিজেপির ব্যানারে প্রথমবার সভা করলেন শোভনবাবু। এদিন নিজের ভাষণে বারবার পুরোনো দলকে তুলোধোনা করেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে দশ বছর আগে সিপিএমের কাছ থেকে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন কান্তি গাঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূল এক অভিনেত্রীকে ভোটের টিকিট দিয়েছিল। তাঁকে জিতিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু ভোটে জেতার পর থেকে আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি দেবশ্রী রায়। মানুষ একবার ক্ষমা করে, দুবার ক্ষমা করে না। তাই আমাকে এখন ক্ষমা চাইতে হচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেন, যাঁকে বুকের পাঁজোরের মতো তৈরি করেছিলাম আজ সে পথ হারিয়েছে। এদিন তিনি দেবশ্রী রায়ের টোটো দুর্নীতি প্রসঙ্গও খুঁচিয়ে তোলেন। তিনি বলেন, গরিব মানুষদের থেকে টোটো দেওয়ার নাম করে ৫০০০ টাকা করে নিয়েছিল। কেউ টোটো পায়নি, অভিযোগ ওঠার পরও তৃণমূল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মানুষ এদের ক্ষমা করবে না। এরপরই তিনি বলেন, আমি সিপিএম কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আপনাদের কাছে বারবার এসেছি। এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছি। আপনারা সঙ্গে থাকুন। এদিন শোভেনের সভায় সাধারণ মানুষের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post