ভোটের আগে কলকাতায় পরপর বিস্ফোরণ! মৃত ১, আহত ২

ভোটের আগেই কলকাতায় পরপর বিস্ফোরণ হল। শুক্রবার সকালের পর সন্ধ্যাতেও কাশীপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। স্থানীয় সূত্রে খবর, আচমকাই পার্কের সামনে বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘটনায় গুরুতর জখম আরও এক। জানা গেছে, বাবা ছেলের বচসার জেরেই এই ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কাশীপুর রোডের ১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত বাসিন্দা বাবা শেখ মতলব ও ছেলে শেখ নাজির। এদিন সন্ধ্যায় বাবা ও ছেলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমেই তা চরম আকার নেয়। অভিযোগ, ছেলেকে লক্ষ্য করে বোম ছোঁড়েন বাবা। আর সেই বোমা ফেটেই গুরুতর জখম হন বাবা ও ছেলে দুজনেই। স্থানীয়রা  উদ্ধার করে হাসপাতালে যেতে যেতেই বাবার মৃত্যু হয়। ছেলের হাতে চোট লেগেছে। আহত ছেলেকে আর জি করে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরদিকে এদিন সকালেই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে কেষ্টপুরের বিদ্যাসাগর পল্লী। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতেই বাসিন্দাদের নজরে আসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে চারিপাশ। শুক্রবার কেষ্টপুরের একটি নির্মীয়মান বহুতল আবাসনে হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়। আহত ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগুইআটি থানার পুলিশ ও বোম্ব স্কোয়াড। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ফাঁকা এলাকায় দুষ্কৃতীরা বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখেছিল। তা থেকেই এই ঘটনা। গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তের সুবিধার্থে আপাতত জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে এবং বন্ধ  রাখা হয়েছে বহুতল নির্মাণের কাজও। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, কেষ্টপুর জোড়াখানার বিদ্যাসাগর পল্লীতে একটি বহুতল আবাসন তৈরির কাজ চলছিল। এদিন সকালেও কাজ করছিলেন মিস্ত্রীরা। সেই সময় আচমকাই বিকট আওয়াজ শুনতে পান বাসিন্দারা। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন মিস্ত্রী। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের বাড়িগুলিও কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে বোম স্কোয়াড ঘটনাস্থলে আসে পরিদর্শন করতে। তাঁরা জানান, বিস্ফোরণ স্থল থেকে যেভাবে মাটি ছিটকে পাশের বহুতলের দেওয়ালের ৫০ ফুটের বেশি উঁচুতে লেগেছে তা দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এটি কোনও উচ্চমানের বোমা ছিল। তবে কি থেকে বিস্ফোরণ, তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বিদ্যাসাগর পল্লীর ওই স্থানটি বহুদিন ধরে ফাঁকা পড়ে থাকার কারণে কিছুটা জঙ্গল তৈরি হয়েছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সেখানেই হয়ত দুষ্কৃতীরা এই বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখেছিল। দুষ্কৃতীরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কি না সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।  তবে, ওই জায়গায় আরও বিস্ফোরক থাকতে পারে এই আশঙ্কায় আপাতত বন্ধ করা হয়েছে বহুতল নির্মাণের কাজ। তবে এই ঘটনা কেবলই দুর্ঘটনা না এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ রয়েছে তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা ।







Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post