প্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন যৌন নির্যাতন নয়, রায় বম্বে হাইকোর্টের

প্রকাশ্যে প্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন অথবা যৌনাঙ্গ দেখানো যৌন নির্যাতনের আওতায় পড়ে না। ফের ‘বিতর্কিত’ রায় বম্বে হাইকোর্টের। পকসো আইনের অধীনে বম্বে হাইকোর্টের রায়ে বিতর্ক অব্যহত। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি মামলায় রায় দিতে গিয়ে পর্যবেক্ষণে এই মন্তব্য করেন মহিলা বিচারপতি পুষ্পা গনেরিওয়ালা। তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, ‘কোনও মেয়ের হাত ধরে টানলে বা প্রকাশ্যে ট্রাউজার্সের জিপ খুললে তা যৌন নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে না’। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এক্ষেত্রে শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত পসকো আইনের ৮ নম্বর ধারা (যৌন নির্যাতন) এবং ১০ নম্বর ধারায় (গুরুতর যৌন নির্যাতন) মামলা রুজু করা যাবে না। উল্লেখ্য, বম্বে হাইকোর্টের পুনা বেঞ্চে ৫০ বছরের লিবনুস কুজুরের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজুতে সায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ৫ বছরের এক নাবালিকার হাত ধরে তাঁর সামনেই প্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেছিলেন অভিযুক্ত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ(১) (শ্লীলতাহানি) ধারার পাশাপাশি পকসো আইনের ৮, ১০ এবং ১২ ধারায় তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল তাঁকে। বিচারপতি পুষ্পা গনেরিওয়ালা নিম্ন আদালতের ওই রায় খারিজ করে দিয়ে বলেন, নাবালিকার মা একমাত্র মামলার প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঘটনার দিন অভিযুক্ত ব্যক্তি নাবালিকার হাত ধরে রেখেছিল। সে সময় অভিযুক্তের ট্রাউজার্সের জিপ খোলা ছিল। এই অভিযোগ যৌন নির্যাতনের সংজ্ঞার সঙ্গে মেলে না। এ ক্ষেত্রে পকসো আইনের ১২ (যৌন হয়রানি) নম্বর ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ(১)(আই) ধারায় মামুলি অপরাধের মামলা রুজু করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে ১ বছরের জেল। 

উল্লেখ্য বিচারপতি গনেরিওয়ালার আরেকটি বিতর্কিত রায়ের ওপর বুধবারই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৯ জানুয়ারি বিচারপতি গনেরিওয়ালা অন্য একটি মামলার রায়ে বলেছিলেন, ‘শিশুদের ক্ষেত্রে জামাকাপড় খুলে বা জামাকাপড়ের ভিতরে হাত গলিয়ে বুক বা গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করা হলে তা পকসো আইনের আওতায় পড়বে না’। এরপরও তিনি শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় রায় দিতে বলেন প্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন গুরুতর যৌন নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে না।  


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post