বিশ্বখ্যাত চিত্র পরিচালক তথা সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায় খাদ্যরসিক ছিলেন। কিন্তু প্রচুর খেতে ভালোবাসতেন না। সারাদিনে বাড়িতে থাকলে দার্জিলিঙের সুগন্ধি লিকার ছাড়া চা ভালোবাসতেন না। তাঁর প্রিয় রেস্টুরেন্ট ছিল স্কাইরুম, এখানকার সুপ থেকে সুফলে সবই খেতে ভালোবাসতেন কিন্তু পরিমানে অল্প | বাইরে শুটিং থাকলে ভালো রেস্তোঁরার স্যান্ডউইচ খাওয়া চাই। সত্যজিতের ছবিতে রান্না এবং খাওয়া দাওয়ার দৃশ্য অনিবার্য ছিল। উনি মনে করতেন খাওয়াটা স্বাভাবিক জীবনের অঙ্গ। তাঁর সাহিত্যে গরম চানাচুর বা সিঙ্গারার বিবরণ পাই জটায়ুর মুখ থেকে। তিনি মনে করতেন বিকেলের চা ডালমুট দিয়েই খেতে ভালো লাগে। সোনা মুগডাল এবং পোনা মাছের বিবরণ পাই যা তাঁর খুব প্রিয় ছিল। চিনা খাদ্যও তাঁর পছন্দের ছিল খুবই।
মিষ্টির বিষয়েও তাঁর পছন্দ ছিল একেবারে আলাদা। ফেলুদার গল্পে দেখা যায় যে শহরে যে মিষ্টি বিখ্যাত তাই খাওয়া উচিত। রাজস্থান বা লখনৌয়ের মিষ্টির বিবরণ তো ফেলুদার গল্পে ছিলই। তবে ব্যক্তি সত্যজিৎ মিহিদানা এবং নলেন গুড়ের সন্দেশ খেতে খুব ভালোবাসতেন। সত্যজিৎ একটা সময়ে প্রচুর সিগারেটে খেতেন এবং তাঁর প্রায় প্রতিটি ছবিতে সিগারেটের দৃশ্য থাকত এমনকি ফেলুদাও সিগারেটে আসক্ত ছিল। একটা অদ্ভুত বিষয় সত্যজিতের ছিল তিনি মদ্যপান করতেন না, কোনোদিনও কোনো বিদেশি পার্টিতে একটি গ্লাসও হাতে নিতেন না।
Post a Comment
Thank You for your important feedback