বিয়ের দু'ঘন্টা আগে রেলে কাটা পড়লেন যুবক, মৃত্যু ঘিরে রহস্য

বিয়ের দু'ঘন্টা আগে রেলে কাটা পড়ে রহস্যমৃত্যু যুবকের। রবিবার রাতে ওই যুবকের দেহ উদ্ধারের পরই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মৃত যুবকের নাম মুজাক্কির ইসলাম। ইসলামপুরের ধনতলা এলাকার ঘটনা। প্রতিবাদে গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। তবে ময়নাতদন্তের পরই সঠিক কারণ জানা যাবে। এদিকে এই ঘটনায় মেয়ের বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। পালটা অভিযোগ করেছে তাঁরাও। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করবে ইসলামপুর থানার পুলিশ।

জানা গেছে, ইসলামপুরের ধনতলা এলাকার বাসিন্দা মুজাক্কির ইসলাম এলাকাতেই একটি কোচিং চালাতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি ছেলেটির সঙ্গে সেখানে পড়তে আসা একটি মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। আর তাঁদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই দুই পরিবারের তরফে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবার রাতে ছিল তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান। মৃতের বাবা দবিরুল ইসলামের অভিযোগ, রবিবার ছেলের জন্মদিনও ছিল। তাই বিয়ের দিন হলেও তিনি রাত বারোটার পর নিকাহর কাজ করতে অনুরোধ জানান মেয়ের বাড়ির লোকজনকে। কিন্তু তাঁরা কিছুতেই তা মানতে চাননি। এরপর তিনি বিয়ের প্রস্তুতির কাজ শেষ করে নামাজ পড়তে চলে যান। সেসময়ে আচমকাই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান মুজাক্কির। এরপর ছেলেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তাঁর অভিযোগ, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে ছেলেকে। কিছুদিন আগেই  কোচিং ক্লাসের সমস্ত জিনিসপত্র দুষ্কৃতীরা পুড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর ছেলের কোচিং ক্লাস বন্ধ করার জন্যই ওই মেয়েটিকে পাঠানো হয়। 

অন্যদিকে মেয়ের পরিবারের তরফে তার দাদা মহম্মদ কুসুউদ্দিন জানিয়েছেন, বিয়ে ঠিক হলেও ছেলের বাড়ি থেকে বিয়ে না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। তাই  শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ওই যুবক। এনিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের প্রতিনিধি মহম্মদ সাব্বির আহমদ জানান, ছেলেটির কোচিং ক্লাসে মেয়েটি টিউশন পড়ত। সেখান থেকে একটি সম্পর্ক তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পুলিশ। 

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে চার-পাঁচশো মানুষ গ্রাম পঞ্চায়েতের মূল গেটের সামনে আগুন লাগিয়ে, তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এদিকে বিয়ের রাতেই ওই যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় ক্রমশ ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। ইসলামপুর পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানিয়েছেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ইসলামপুর মর্গে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ হাতে পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তর কাজ শুরু করবে পুলিশ। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post