ভোট আসন্ন বলেই কী ‘মওকা’ পেয়েছেন শাসকদলের বিদ্রোহীরা?

জনশ্রুতি, পিকে (প্রশান্ত কিশোর) আসার পরই নাকি তৃণমূল দলের বহু পরিবর্তন হয়েছে। এবং দলের কল্যাণ্যে তিনি নাকি তরুণ প্রজন্মের উপর জোর দিয়েছেন। সেই পরিবর্তিত পরিবর্তনের ডানা মেলে নব্য প্রতিনিধিরা যখন উড়ে চলেছেন, তখনই দলের অন্দরে বিদ্রোহের উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ছে এই শীতল মরশুমেও। দল ছাড়তে চাইছেন অনেকেই, বেসুরো গলায় শোনাচ্ছেন বহু অভাব-অভিযোগ। সেটা কখনও প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমে বা কখনও সোশাল মিডিয়ায়। শুভেন্দু অধিকারীর মতো প্রভাবশালী নেতা দল ছাডা়য় অনেকেই  শক্তি ও সাহস নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ছেন। আবার অনেকেই দলকে ধোঁয়াশায় রেখে বেফাঁস মন্তব্য করছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নড়েচড়ে বসেও নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের। কাকে ছেড়ে কাকে আটকাবেন? সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে স্বয়ং মুখমন্ত্রীকেও সরাসরি ফোন করে ঠান্ডা করতে হচ্ছে বিদ্রোহীদের। ভোট আসতে মাত্র ৪ মাস বাকি, আর এই সময়টাই বেছে নিয়েছেন বিদ্রোহী নেতারা। প্রশ্ন কিন্তু উঠেছে শাসকদলের সাধারণ কর্মীদের মধ্যেও। ওই তারা যারা দেওয়াল লেখেন, পোস্টার মারেন, ভোটার স্লিপ বিলি করেন, মাইক নিয়ে প্রচার করেন, ভোটের দিন বুথ সামলান, তাঁরা ভাবছেন কি হবে, কোথায় যাবে দল? কিছু না পাওয়া এই অভাগারাই কিন্তু যে কোনো দলের সম্পদ, ওদের কথা ভাবে কে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে দলের উপর তলায় বিদ্রোহ দেখা দিলে নীচু তলার কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় এটাই স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতিতে দলের ঐক্য ধরে রাখতে মরিয়া শাসকদল।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post